ভাস্বর ও সব্যসাচী
টানা ১৪ ঘণ্টা শুটিং কঠিন ছিল। কিন্তু তার চেয়েও কঠিন গৃহবন্দি হয়ে কাটানো। ছোট পর্দার অনেক তারকাই অবসরের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ, অন্দরমহলের খবর ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন তাঁরা। সকলে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অকপট হতে পারছেন না, রয়েছে চ্যানেলের নিষেধাজ্ঞা। বিশেষত যাঁরা ধর্মীয় চরিত্র করছেন।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের রামকৃষ্ণের অর্থাৎ সৌরভ সাহা বলছিলেন, ‘‘রামকৃষ্ণর চরিত্র করতে গিয়ে নিজের অনেক কিছুই ছাড়তে হয়েছে। বন্ধ থাকলেও ছাড় নেই।’’ শোনা যাচ্ছে, নিজের ছবি-ভিডিয়ো পোস্ট করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী, যিনি ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনয় করছেন। ব্যক্তিগত ছবি পোস্ট করার ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলতে চাইলেন না। ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বই পড়তে অনেক বেশি ভাল লাগে,’’ প্রশ্ন এড়িয়ে সব্যসাচীর জবাব। চ্যানেলের নির্দেশ, এ ব্যাপারে মুখ খোলা যাবে না। এই ধারাবাহিকেই কালীর চরিত্রে অভিনয় করছেন নবনীতা দাস। তিনি বললেন, ‘‘আমার পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্সে বাধা নেই।’’ একই ধারাবাহিকের দু’জন শিল্পীর ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম!
বিধিনিষেধের ফাঁদে আটকে ‘জয় বাবা লোকনাথ’ ধারাবাহিকের প্রধান অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি নিজেই ঠিক করেছেন কোনও রাজনৈতিক মতামত দেবেন না। ভাস্বরের কথায়, ‘‘অভিনেতাকেও চরিত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে হবে। আমি সিনিয়র আর্টিস্ট বলে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তেমন কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম আমি মেনে চলি।’’
‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে শ্যামার চরিত্রের অভিনেত্রী তিয়াসা রায়কেও কড়া নিষেধ মানতে হত। কিন্তু এখন শ্যামার বদলে মামের চরিত্রটি করায়, নিয়মগুলি লঘু হয়েছে। ‘‘মাম চরিত্রটি না এলে এখনও হয়তো আমাকে নিয়ম মানতে হত,’’ মন্তব্য তিয়াসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy