Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
গুয়েরিমো ওচোয়া ক্লডিও ব্রাভো রেইস এম’বলি টিম হাওয়ার্ড জুলিও সিজার

ধরা ‘ওচোয়ার’ বাইরে

এই বিশ্বকাপ গোলকিপারদের। টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচকে বাছলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়এই বিশ্বকাপ গোলকিপারদের। টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচকে বাছলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০০:০১
Share: Save:

এ বারের বিশ্বকাপ কিন্তু আমার মতে গোলকিপারদের পক্ষে বেশ ভালই প্রমাণিত হয়েছে। গোলকিপাররা দুর্দান্ত খেলেছে বলেই না, নকআউটের এত ম্যাচ এক্সট্রা টাইমে গড়িয়েছে! শুধু তাই নয়, এ বার গোলকিপাররা কিন্তু অ্যাটাকিং প্লেয়ারের মতোও খেলছে। আমাদের শেখানো হত, ‘গোলকিপার ইজ দ্য লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স অ্যান্ড ফার্স্ট লাইন অব অ্যাটাক’। এই বিশ্বকাপে কিন্তু সেটা দেখতে পাচ্ছি। এই বিশ্বকাপ থেকে তাই পাঁচ জনকে বেছে নেওয়া বেশ শক্ত। তবু যদি বলতেই হয় তবে বলব মেক্সিকোর গুয়েরিমো ওচোয়া, চিলির ক্লডিও ব্রাভো, আলজিরিয়ার রেইস এম’বলি, যুক্তরাষ্ট্রের টিম হাওয়ার্ড আর ব্রাজিলের জুলিও সিজার। এই পাঁচজনের নাম করছি বটে। কিন্তু জার্মানির ম্যানুয়েল ন্যয়ার, বেলজিয়ামের থিবাউ কুর্তোয়া বা ফ্রান্সের হুগো লরিস-ও কিন্তু কম যাননি।

কেন তাঁরা সেরা

গুয়েরিমো ওচোয়া

ওচোয়াকে এগিয়ে রাখব ওঁর ক্ষিপ্রতার জন্য। একজন সেরা গোলকিপারের যে যে দক্ষতাগুলো দরকার, সব আছে ওঁর মধ্যে। ফিটনেস, অ্যান্টিসিপেশন, ফ্লেক্সিবিলিটি আর রিফ্লেক্সে অনেকের থেকে এগিয়ে ওচোয়া।

ক্লডিও ব্রাভো

ট্রাইব্রেকারে চিলি হেরে গেলেও ব্রাভোকে আমি প্রথম পাঁচে রাখবই। ফুটবলের লোকজন জানেন ‘গ্রিপিং’য়ের দক্ষতা একজন গোলকিপারকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারে। সেটাই হয়েছে ব্রাভোর ক্ষেত্রে। ওঁর ঠিক সময়ে পাঞ্চ করে বল বের করে দেওয়া বা তারও আগে সময় বুঝে এগিয়ে আসা— এ সব কিছু কিন্তু গোটা দলকেই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।

রেইস এম’বলি

১১টা সেভ করে আলজিরিয়াকে এক্সট্রা টাইমে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বটা কিন্তু পুরোটাই এম’বলির। ওঁর যে ব্যাপারটা আমার ভাল লেগেছে, তা হল রিফ্লেক্স। অনেক ক্লোজ সেভ করেছে। সাঙ্ঘাতিক রিফ্লেক্স না-থাকলে সেটা সম্ভব হত না।

টিম হাওয়ার্ড

এক ম্যাচে ১৬টা সেভ। ভাবা যায়! হাওয়ার্ডও কিন্তু প্রায় নিজের কাঁধে টিমকে নকআউট পর্বে নিয়ে এসেছেন। গোলপোস্টের নীচে সবসময় পায়চারি করতে থাকা থেকেই বোঝা যায় কতটা অ্যাজাইল হাওয়ার্ড। আমার ভাল লেগেছে ওঁর অ্যান্টিসিপেশন করার ক্ষমতা দেখে।

জুলিও সিজার

সিজারের দক্ষতা হল কাছ থেকে বল ঠেকানো। এ ব্যাপারে ওঁর ধারেকাছে কেউ আসবে না। অ্যাজিলিটি আর অ্যান্টিসিপেশন করার ক্ষমতা না-থাকলে সেটা সম্ভব হত না। আর কী আত্মবিশ্বাসী! যেন গোটা গোলপোস্ট জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে! ব্রাজিলকে এ বার কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করতে হচ্ছে সিজারের উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bhaskar bandyopadhyay fifaworldcup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE