Advertisement
E-Paper

‘মেরি কমে’র জাল ডিভিডি ইম্ফলে, সমর্থন প্রিয়ঙ্কার

মুক্তির তিন দিনের মাথায় মণিপুরের বাজারে বিকোতে শুরু করেছিল ‘মেরি কম’ ছবির জাল ডিভিডি। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এমনিতে ‘পাইরেসি’র কট্টর বিরোধী। কিন্তু যে রাজ্যে হিন্দি ছবি দেখানোর উপরে জঙ্গিদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে মানুষ সাহস করে ডিভিডি কিনে ‘মেরি কম’ দেখছেন এই ঘটনাটাকে সমর্থনই করছেন তিনি। এ দিন গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথেই আনন্দবাজারকে এ কথা বলেন তিনি।

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১৭

মুক্তির তিন দিনের মাথায় মণিপুরের বাজারে বিকোতে শুরু করেছিল ‘মেরি কম’ ছবির জাল ডিভিডি। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এমনিতে ‘পাইরেসি’র কট্টর বিরোধী। কিন্তু যে রাজ্যে হিন্দি ছবি দেখানোর উপরে জঙ্গিদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে মানুষ সাহস করে ডিভিডি কিনে ‘মেরি কম’ দেখছেন এই ঘটনাটাকে সমর্থনই করছেন তিনি।

এ দিন গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথেই আনন্দবাজারকে এ কথা বলেন তিনি। ‘মেরি কম’ ছবিটি নিয়ে উত্তর-পূর্বে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক হয়েছে। কখনও মণিপুরের মানুষ মেরির ভূমিকায় প্রিয়ঙ্কার অভিনয় করা নিয়ে আপত্তি করেছেন। কখনও জঙ্গি হুমকির বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা মুখ খোলায় বিতর্ক বেড়েছে। প্রিয়ঙ্কা অবশ্য বিতর্ককে খুব আমল দিতে চান না। তিনি বলছেন, “মেরির ভূমিকায় আমার অভিনয় নিয়ে মেরি নিজে খুশি। ওদের বাড়িতে গিয়ে চার-পাঁচদিন কাটিয়েছি। ওখানকার মানুষ আমায় আন্তরিক ভাবেই গ্রহণ করেছেন।” মেরি নিজে চার-পাঁচবার ছবিটা দেখেছেন। প্রিয়ঙ্কা উচ্ছ্বসিত গলায় বলেন, “জানেন, প্রতিবার ওর চোখে আমি জল দেখেছি। মেরির চোখের জলই অভিনেত্রী হিসাবে আমার সার্থকতা।”

মণিপুরের পড়শি রাজ্য অসমেই ৭২টি পর্দায় রমরম করে চলছে ‘মেরি কম’। ছবিটি করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিলংয়েও ছবিটি ভাল দর্শক টেনেছে। কিন্তু পিএলএ জঙ্গিদের হুমকিতে ইম্ফলের ছ’টি হল-এর একটিতেও ‘মেরি কম’ দেখানো যায়নি। সেখানকার মানুষ শিলচর বা গুয়াহাটি এসে ছবিটি দেখে গিয়েছেন। আর খাস ইম্ফলে ‘মেরি কমে’র পাইরেটেড ডিভিডি হট কেকের মতো বিক্রি হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, “আমরা সকলে মিলে অনেক চেষ্টা করেও মণিপুরে ছবিটা দেখাতে পারলাম না। কিন্তু সেখানকার মানুষ স্থানীয় নায়িকাকে ভালবেসে ছবিটি দেখতে চেয়ে ডিভিডি কিনেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি পাইরেসিকে ঘৃণা করি। কিন্তু মণিপুরের মানুষ উপায় না পেয়েই এই কাজ করেছেন।”

কিন্তু ‘মেরি কম’ তো ১০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছল না? একটু বিরক্ত সুরে প্রিয়ঙ্কার জবাব, “দয়া করে সব ছবিকে এক দলে ফেলবেন না। আমাদের ছবির বাজেট ১৫-২০ কোটি টাকা। প্রথম দশ দিনে যা ব্যবসা করেছে, তা অনেক। সংসার-সন্তান সামলেও যে খেলাধুলোয় শীর্ষে যাওয়া যায় সেটাই আমরা দেখিয়েছি। আর যাঁরা বলেছিলেন হিরো ছাড়া ছবি চলবে না, তাঁদেরও ভুল প্রমাণ করেছি।”

মেরি যদি অলিম্পিকে পদক না পেতেন, তা হলেও কি আপনি মেরির ভূমিকায় অভিনয় করতেন? “নিশ্চয়ই করতাম।” প্রিয়ঙ্কা স্বীকার করছেন, “আগে মেরির নাম শুনিনি সত্যি। কিন্তু আমাদের ছবিতে মেরির অলিম্পিকের আগের যাত্রাটাই তুলে ধরা হয়েছে।’’ ১৮ মাসে বক্সিং-এর কায়দা রপ্ত করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেই প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েই যে পরিমাণ ব্যথা পেতে হয়েছিল, সেটাই প্রিয়ঙ্কাকে বুঝিয়েছিল কত কঠিন ছিল মেরির লড়াইটা। ১৯ সেপ্টেম্বর মেরি এশিয়াড শিবিরে যাচ্ছেন। আগে থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রেখেছেন প্রিয়ঙ্কা। বললেন, “মেরির সঙ্গে আমার একটা একাত্মতার বোধ আছে। আমরা দু’জনেই ছোট শহর থেকে এসে পুরুষশাসিত দু’টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।”

mary kom priyanka chopra rajibakksha rakshit pirated movie
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy