যে-ই জিতুক না কেন, আসলে তো আপনারই হাত
কিক অফ হতে বাকি আর দু’মাসের কিছু কম। কিন্তু ব্রাজিলে আর ক’জনের যাওয়া হবে। টিভিতে ম্যাচ দেখাও যে সব সময় সম্ভব হবে, তেমনটাও তো আর হলফ করে বলা যাবে না। তাতে মন খারাপের আর কী আছে? স্মার্টফোন তো আছে।
খেলার খবরের অ্যাপস্
অফিসের লেট নাইট অ্যাসাইনমেন্টে আটকে পড়াই হোক কি ট্রাফিক জ্যামে, খেলা দেখা মিস হতেই পারে। কিন্তু তাতে কী? ফিফা-র অফিসিয়াল অ্যাপস, ওয়ানফুটবল বা গোল ডট কম-এর অ্যাপস থাকলে তো ম্যাচের সব খবরই আপনার হাতের মুঠোয়। প্রতি মিনিটের আপডেট আর বিশ্লেষণ পেয়ে যাবেন হাতের মুঠোয়। আর সবই লাইভ। ওয়েব সাইটের মতো বারে বারে রিফ্রেশ করারও দরকার হবে না।
তবে শুধু যে আপনিই খবর জানতে চানএমনটা ভুলেও ভাববেন না। খবর আপনার কাছে পৌঁছে দিতে টিমগুলোও কম যায় না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সময় যেমন বার্সেলোনা বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সব খবর পাওয়া যায় টিম অ্যাপস থেকে, তেমনই বিশ্বকাপের বাজারেও হাজির টিম অ্যাপস। ফলে বিশ্বকাপ যত কাছে আসবে নেইমারের প্র্যাকটিস সিডিউলের জন্য ইন্সট্যাগ্রামে বার্সেলোনাকে ফলো না করে ব্রাজিল টিমের অ্যাপটাই ইন্সটল করে নিন।
আর মারপিট হবে না
কোনও ফুটবল-পাগল হলফ করে বলতে পারবেন না, ম্যাচ দেখতে দেখতে হাতাহাতি হয়নি। অফসাইড ছিল কি ছিল না? বল গোললাইন পার করেছে কি না? গণ্ডগোল শুরুর কারণের অভাব হয় না। শুধু ঝগড়াঝাঁটি এড়ানো কেন, ম্যাচটাও তো ভাল করে উপভোগ করা যায়, যদি তার নিয়মকানুনগুলো সব জানা যায়।
তাই বলে তো রুলবুক হাতে নিয়ে বয়ে বেড়ানো সম্ভব নয়। তার জন্যই তো ‘সকার/ফুটবল রুলস’ অ্যাপ। শুধু নিয়ম নয়, এই অ্যাপসের সাহায্যে জানতে পারবেন রেফারিদের সমস্ত সিগনাল সম্বন্ধেও। ফলে ম্যাচ দেখতে বসে আর হারিয়ে যেতে হবে না। ঝগড়ার আগেই বন্ধুকে হাতে-কলমে (থুড়ি, হাতে-ফোনে) দেখিয়ে দিতে পারবেন, গোলটা সত্যিই অফসাইড থেকে ছিল না।
ফ্যান্টাসি ফুটবল
নিজের পছন্দের টিমের জেতা আর নিজের টিম জেতার মধ্যে যে গ্যালন গ্যালন অ্যাড্রিনালিনের ফারাক আছে, সেটা তো যে-কেউই বুঝতে পারে। তার জন্যই তো ফ্যান্টাসি ফুটবল। কম্পিউটার গেম থেকে ফেসবুক সবেতেই হাজির এ। সেখানে নিজের ইচ্ছেমতো টিম তৈরি করে নিন। সেই টিমের খেলোয়াড়েরা ওয়ার্ল্ড কাপে যেমন খেলবে, আপনিও সেই অনুপাতে পয়েন্ট পাবেন। প্রিমিয়ার লিগ ফ্যান্টাসি বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো ফ্যান্টাসি ফুটবলে তো প্লেয়ার কেনা-বেচাও করতে পারবেন ট্রান্সফারের সময়ে।
চাইলেই স্কোলারি
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের রিটায়ারমেন্টের পর থেকে নিশ্চয়ই চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। ডেভিড মোয়েস এখন যা ফর্ম দেখাচ্ছেন, তাতে নির্ঘাৎ মনে হয়েছে, না, এ বার ম্যান ইউ-এর কোচিংটা আপনাকেই করাতে হবে। ওহ্! কোচিং লাইসেন্স নেই! তাতে কী, ফিফা ম্যানেজার ১৪ গেম তো আছে। তাতে চাইলেই আপনি ফার্গুসন। ইচ্ছে হলেই স্কোলারি। এ বার আপনি তিকি-তাকা ব্যবহার করবেন না টোটাল ফুটবল, তা আপনিই ঠিক করবেন।
কী ভাবে? ফিফা ম্যানেজার ১৪ গেমটা কম্পিউটারে ইন্সটল করে নিলেই হবে। ট্যাবে বা স্মার্টফোনেও পেয়ে যাবেন গেমটা।
নিজেই যখন নেইমার
তাই বলে সব সময় যে আপনাকে টিম ম্যানেজার হয়ে থাকতে হবে, তার তো কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি। ফিফা ১৪ আছে না! এই গেমটাও ইন্সটল করে নিতে পারেন আই ফোনে বা আই প্যাডে। তবে গেমে পাক্কা পেশাদার ফুটবলারের মতো খেলতে হলে, বেশ কসরত করতে হবে। না, জিমে ঘাম ঝরাতে হবে না কিংবা বার্সেলোনার ওয়েবসাইট ঘেঁটে টিম ওয়ার্কআউট কপি করতে হবে না। গেম প্ল্যানে সড়গড় হতে হবে। নতুন ভার্সানের এই গেমে ড্রিবলিং, পাসিং, ব্লকিং কিন্তু সহজে আয়ত্ত করা যাবে না। মেহনত করতে হবে। তবে না মেসি-নেইমার হতে পারবেন।
অবশ্য কিছু দিন ধৈর্য ধরতে পারলে ২০১৪ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ব্রাজিল গেমটাও পেয়ে যাবেন। পরের সপ্তাহেই রিলিজ করবে গেমটা। এ বারের ফুটবল বিশ্বকাপের ১২টা স্টেডিয়ামেই খেলতে পারা যাবে। তবে এই গেমটা পিসি-তে পাবেন না।
পুনশ্চ: কম্পিউটারের পাশাপাশি দু’টো গেমই এক্স বক্স বা প্লে স্টেশন-এর মতো গেমিং কনসোলেও পেয়ে যাবেন। আর নিজের কম্পিউটারে লেটেস্ট ভার্সান ইন্সটল না করতে পারলে, পুরনো ভার্সানগুলোও চেখে দেখতে পারেন। গ্রাফিক্স একটু খারাপ হলেও, ফুটবলের উত্তেজনায় খুব একটা ভাঁটা পড়বে না।
আনাচে কানাচে
টেক টু: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়-সুমন মুখোপাধ্যায়। ‘টেক ওয়ান’ ছবির প্রিমিয়ারে
ম্যয় তেরা হিরো:শুভশ্রী-অঙ্কুশ-নুসরত। এক মিউজিক চ্যানেলের লঞ্চ পার্টিতে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy