ঊষসী রায়
আমার বাবা-মা এথিস্ট। বাংলায় যাকে বলে নাস্তিক। আমি যদিও নই। অক্ষয় তৃতীয়ায় আমাদের বাড়িতে সে ভাবে কোনও পুজোআচ্চা হত না। তবে মায়ের কয়েক জন বন্ধুর বুটিক ছিল। অক্ষয় তৃতীয়ার বিকেলে মায়ের সঙ্গে সেই সব আন্টির দোকানে যেতাম। বাক্সে ভরা মিষ্টি নিয়ে মহানন্দে বাড়ি আসতাম। তবে মিষ্টির থেকেও আমাকে বেশি টানত ক্যালেন্ডার। আর তাতে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি।
ছোট থেকেই গণেশ আমার খুব কাছের। বাড়িতে ক্যালেন্ডার এনে সেখান থেকে গণেশের ছবি কেটে সযত্নে রেখে দিতাম আমি। তখন আমার কতই বা বয়স? এই ফাইভ কি সিক্সে পড়ি।
এ তো গেল ছোটবেলার কথা। আমার কিশোরীবেলার অক্ষয় তৃতীয়া নিয়ে আবার অন্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বলিউডের সিরিয়ালগুলোতে দেখতাম এক সপ্তাহ ধরে আখ্যা ত্বিজ পালন দেখানো হচ্ছে। বেশ ভাল লাগত দেখতে। কত আয়োজন... নিয়মকানুন।
নিজে যখন এই সিনেদুনিয়ার অংশীদার হলাম, তখন সবচেয়ে ভাল বুঝতে শিখলাম এর মাহাত্ম্য। মনে আছে, ‘বকুল কথা’-য় প্রায় সাত দিন ধরে অক্ষয় তৃতীয়া পর্ব চলেছিল। আর সত্যি কথা বলতে কি, এই সিরিয়াল করতে করতে এখন আমি তেরো পার্বণের সব ক’টার নিয়ম মোটামুটি ভাবে জেনে গিয়েছি। অক্ষয় তৃতীয়ারও অনেক নিয়ম এখন আমার মুখস্থ। এ তো গেল আমার কথা। অক্ষয় তৃতীয়া নিয়ে আপনার কিছু স্পেশাল মনে রাখার মুহূর্ত রয়েছে কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy