শীতকালে বাজারে টাটকা পেঁয়াজকলি পাওয়া যায়। কিনে আনলে তা ফেলে রাখবে না। পেঁয়াজকলিতে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে, তেমনই এর পুষ্টিগুণও রয়েছে প্রচুর। তবে এটি খুব বেশি রান্না না করে হালকা তেলে নেড়ে নিন তাতে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
পেঁয়াজকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শীতে সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লু থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
২. হজম প্রক্রিয়ায় উন্নতি
পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। বিশেষ করে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যায় পেঁয়াজকলি বেশ উপকারী।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
পেঁয়াজকলিতে থাকা সালফার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে।
৪. হাড় মজবুত করে
পেঁয়াজকলিতে রয়েছে ভিটামিন কে। হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন কে। যা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।
৫. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
এতে ভিটামিন এ এবং লুটেইনের মতো উপাদান রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁয়াজকলি খেলে বয়সের কারণে হওয়া চোখের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।