সকালে চায়ের সঙ্গে দু’টি বিস্কুট না খেলে চলে না! তাতে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?

চায়ে ডুবিয়ে বিস্কুট খেলে তবে মনে হয়, সকাল শুরু হল। সারা দিনের ব্যস্ততা শুরু হওয়ার আগে বিস্কুট আর চায়ের কাপ হাতে ওই সময়টুকুই যেন একটু আরামের। আর চায়ে বিস্কুট ভিজিয়ে খাওয়া সেই আরামের অঙ্গ। তাই এখন যদি বলা হয়, বিস্কুট খাওয়া ভাল নয়, তবে অনেকেরই মনে হতে পারে, তবে কী খাবেন। চাইলে অনেক রকম স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাওয়া যেতে পারে বা শুধু চায়ের স্বাদ এবং গন্ধও উপভোগ করা যেতে পারে। কিন্তু তার আগে জেনে নিন, কেন বিস্কুট এড়িয়ে চলাই ভাল। দিল্লির পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজা বলছেন, নিয়মিত ওই দু’টি আপাত নিষ্পাপ বিস্কুট খেলে ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি

বিস্কুটে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাট বা হাইড্রোজেনেটেড তেলের মতো অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট। তাতে পুষ্টি তো থাকেই না। তার বদলে যা থাকে, তা হল এমন ক্যালোরি, যা কোনও উপকারে লাগে না। নিয়মিত বিস্কুট খেলে তা সহজেই ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে

বিস্কুটে পরিশোধিত চিনি এবং ময়দার মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। যা আদতে সিম্পল কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ সহজেই রক্তে মিশে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য বিস্কুট খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। আর নিয়মিত ভাবে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাড়তে টাইপ ২ ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি

বিস্কুটে থাকে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ধনের ফ্যাট রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ‘ভাল’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএলের মাত্রা কমায়। যা ধমনীতে ব্লকেজ এবং তা থেকে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

হজমের সমস্যা

বেশির ভাগ বিস্কুট পরিশোধিত ময়দা দিয়ে তৈরি হয়, যাতে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে। এ থেকে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্ত্রে প্রদাহের সমস্যা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও ময়দা খাওয়ার ব্যাপারে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, তা সুস্বাস্থ্যের অন্তরায় হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ

নোনতা বিস্কুটে সোডিয়াম বা নুনের মাত্রা বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে তার প্রভাবে রক্তচাপ বাড়তে পারে। বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাঁদের ওই ধরনের বিস্কুট এড়িয়ে চলাই ভাল।