Advertisement
E-Paper

কড়া ডায়েটে থেকেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমছে না? খাওয়ার পর কোন কাজ করলে উপকার পাবেন?

আপনি কি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন? খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কত ক্ষণ হাঁটলে সুফল মিলবে?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৫:০৫
Summer

ডায়াবিটিসকে জব্দ করুন রাতের অভ্যাসে বদল এনে। ছবি: শাটারস্টক

শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনও বিকল্প নেই— এ কথা কিন্তু বার বার মনে করিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। ‘মর্নিং ওয়াক’ করার সময় পান না অনেকেই। দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক রোগ দূর হয়। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন? খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

জার্নাল স্পোর্টস মেডিসিন নামক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, খাওয়াদাওয়া করার ৬০ থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে। দিনে যত বার ভারী খাবার খাচ্ছেন, তার পরেই হাঁটতে হবে। দিনে কিংবা রাতে আমরা বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেড খেয়ে থাকি। ফলে খাওয়ার পরেই শরীরে ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাই বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে খাওয়ার পর হাঁটাহাটি করলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বয়স বাড়লে শারীরিক দক্ষতা কমে যায়। শরীরচর্চা করার প্রবণতাও বৃদ্ধ বয়সে কমে যায়। ফলে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়।

গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, সারা দিন আধ ঘণ্টা হাঁটার তুলনায় খাওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। খাবার থেকেই রক্তে শর্করা তৈরি হয়। খাওয়ার পর হাঁটাহাটি করার সময় যে ক্যালোরির খরচ হয়, তার জোগান রক্তের শর্করাই দেয়। তাই হাঁটলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

খাওয়ার পর হাঁটাহাটি করলে আর কী কী সুফল মেলে?

১) খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমশক্তি ভাল হয়। যাঁদের হজমের নানা সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য অবশ্যই খাওয়ার পর হাঁটা দরকার। হাঁটাহাটি করলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয়। ফলে খাবার সঠিক ভাবে পাকস্থলীতে যায় এবং তা দ্রুত হজম হতেও সাহায্য করে।

walking

মেদ ঝরাতেও রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক

২) অল্প বয়েসেই মানুষ এখন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকেরা প্রতি দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।

৩) মেদ ঝরাতেও রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে পারেন। হাঁটলে বিপাকহার বাড়ে, ফলে ওজনও ঝরে দ্রুত। রাতে খাওয়ার পর অনেকেই শুতে চলে যান, শরীরের আনাচকানাচে মেদ জমার কারণ হতে পারে এই অভ্যাস।

Walking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy