Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Health Tips

দিন দিন বাড়ছে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য! কেন এমনটা হচ্ছে? দুশ্চিন্তায় কেন চিকিৎসকরা?

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিগত ৩০ বছরে পুরুষদের গোপানাঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে অনেকটাই বেড়েছে। তা দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। কিন্তু কেন?

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সমীক্ষার এই রিপোর্ট দেখে যথেষ্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সমীক্ষার এই রিপোর্ট দেখে যথেষ্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ছবি: শাটারস্টক।

সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:২২
Share: Save:

যৌনাঙ্গের মাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেক পুরুষই। ঠিক কেমন মাপ হলে সঙ্গীর সবচেয়ে ভাল লাগবে, তা নিয়ে নানা সংশয় থাকে অনেকের মনেই। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিগত ৩০ বছরে পুরুষদের গোপানাঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে অনেকটাই বেড়েছে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, ১৯৯২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে ২৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। লিঙ্গ বেড়ে গড়ে ৪.৮ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি হয়েছে। সমীক্ষাটি ১৪ ফেব্রিয়ারি ‘দ্য ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ মেন্‌স হেলথ’- এ প্রকাশিত হয়। ১৯৪২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে নথি নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।

পুরুষরা যদিও এই খবরটি শুনে খুশি হবেন, তবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সমীক্ষার এই রিপোর্ট দেখে যথেষ্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে রাসায়নিক দ্রব্যের বহুল ব্যবহার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং বেলাগাম ‘জাঙ্ক’ খাওয়ার অভ্যাস লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনের ইউরোলজির অধ্যাপক মাইকেল আইজেনবার্গ এই সমীক্ষা দেখে বলেন, ‘‘বিষয়টি খুবই চিন্তার। এত অল্প সময়ের মধ্যে মানবশরীরে এত পরিবর্তনের অর্থ হল, দেহে কোথাও বড় রকমের সমস্যা দেখা দিতে চলেছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে, তা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি নিশ্চিত করতে হবে।’’

গবেষকরা দেখেছেন, সাধারণ অবস্থায় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে ৩.৪ ইঞ্চি। উত্থিত অবস্থায় পুরুষদের গোপনাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য এখন ৫.১ ইঞ্চি। প্রায় ৮০ বছরের রেকর্ড নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে ২০২১ সালে পুরুষদের লিঙ্গে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হার সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো। গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত করে। এই কারণেই মহিলা-পুরুষ উভয়ই সময়ের আগে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যাচ্ছেন। গবেষণা অনুযায়ী, দৈর্ঘ্যের হার বাড়লেও পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণায় যাবে স্ট্যানফোর্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Tips Sexual Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE