করোনাকালে কী কী ওষুধ হাতের কাছে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত
শহরে, এমনকি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক। ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে সংক্রমণ। প্রত্যেক ঘরে কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে সকলেই আরও বেশি করে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দরকার ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই বাড়িতে থেকেই কাজ করছেন অনেকে। কিন্তু যেহেতু করোনা-স্ফীতির এই পর্যায় ভাইরাসের রূপ আরও বেশি সংক্রামক, তাই প্রস্তুতি সকলেরই প্রয়োজন। এই সময়ে কী ধরনের ওষুধ রাখবেন ঘরের ওষুধের বাক্সে? কী ভাবেই বা সামাল দেবেন হঠাৎ কোনও বাড়াবাড়ি হলে? জেনে নিন যাবতীয় তথ্য।
১। যদি সংক্রমণের প্রভাব সামান্য হয়, তা হলে সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই চিকিৎসার প্রয়োজন। ফলে অল্প জ্বর, কাশি, গা ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল রাখুন।
২। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ডি থ্রি এবং জিঙ্ক ট্যাবলেট রাখা প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি চাই পুষ্টিকর খাবারও।
৩। গরম জলে গার্গল করা এবং ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সাধারণত। কিন্তু ভেপার নেওয়ার ক্যাপসুলও (কার্ভল প্লাস) রাখতে পারেন ঘরে।
৪। অ্যান্টিবায়োটিক সহ অ্যান্টিহিস্টামিন (অ্যালার্জি বা র্যাশের জন্য)।
৫। গার্গল করার জন্য বেটাডাইন মাউথওয়াশ।
৬। থার্মোমিটার সঙ্গে রাখুন। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় জ্বর মাপতে হবে। জ্বর বেশি হলে আর ঘন ঘন।
৭। পাল্স অক্সিমিটার অবশ্যই কাছে রাখুন। প্রত্যেক ৬ ঘণ্টায় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে। শ্বাসকষ্ট হলে আরও ঘন ঘন।
৮। যদি নিত্য কোনও ওষুধ খান, ১৪ দিনের ওষুধ একবারে আনিয়ে রাখুন।
৯। ডায়েবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সি বি জি ব্লাড গ্লুকোজ মিটার সঙ্গে রাখতে হবে।
১০। রক্তচাপ মাপার যন্ত্র সঙ্গে রাখুন। প্রত্যেক দিন দু’বেলা মেপে দেখতে হবে।
১১। হাঁপানি বা অ্যালার্জির জন্য নেব্যুলাইজার যন্ত্র সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।
এর বাইরে কোনও ওষুধ খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই করবেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, হাসপাতাল বা নজরদারি দলের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখুন। ওষুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy