ওমিক্রনে বেশি সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু শরীরে সার্বিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলায় কম যায় না কোভিডের এই নবতম রূপটিও।
বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন মোটেই সাধারণ সর্দি-কাশির মতো নয়। এটি শরীরের উপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও কেন সাবধানে থাকবেন
ছবি: সংগৃহীত
ওমিক্রনে বেশি সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু শরীরে সার্বিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলায় কম যায় না কোভিডের এই নবতম রূপটিও।
প্রতীকী ছবি।
ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এমন কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যা থেকে যেতে পারে কোভিড-মুক্তির দীর্ঘদিন পরেও। কোমর ও দেহের নীচের দিকের অঙ্গগুলির ব্যথা-বেদনা এর মধ্যে অন্যতম। দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন প্রথম ভাইরাসের এই রূপটি চিহ্নিত হয়, তখন আটটি উপসর্গের কথা বলা হয়েছিল। এটি হল তার মধ্যে অন্যতম। ওমিক্রনে এমনিতেই গা ব্যথা একটি প্রধান সমস্যা হিসাবে দেখা গিয়েছিল। বিভিন্ন পেশীর ব্যথাই এই কোমরে যন্ত্রণার প্রধান কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ওমিক্রনকে সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে নেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে একটি বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বার বার সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন মোটেই সাধারণ সর্দি-কাশির মতো নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এটি শরীরের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন, কোভিড-মুক্ত হওয়ার পরেও বেশ কিছু দিন থাকতে হবে সতর্ক। এই সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সঠিক খাওয়া-দাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত তাঁদের। যাঁরা রা শরীরচর্চা করেন, তাঁদেরও থাকতে হবে সতর্ক। কোভিড-মুক্তির পর অন্তত এক সপ্তাহ শরীর আদৌ কতটা ধকল নিতে পারছে, সেটা বুঝে নেওয়া দরকার।