যাঁরা ফিটনেস সচেতন, তাঁদের ডায়েটে কলা এবং খেজুর ভিন্ন মাত্রায় প্রাধান্য পেয়ে থাকে। শরীরচর্চার আগে অল্প পরিমাণে পুষ্টির জন্য অনেকেই একটি কলা বা কয়েকটি খেজুর খেয়ে থাকেন। কারণ, উভয় ফলই বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। ফলে শরীরচর্চার সময়ে দেহের প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব হয় না। কিন্তু প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার হিসেবে কলা এবং খেজুরের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে কলা
কলার মধ্যে জটিল কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও কলা পটাশিয়াম এবং ফাইবারে পরিপূর্ণ। ফলে শরীরচর্চার দেহে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু কলা হজম করতে বেশি সময় লাগে। তাই শরীরচর্চার আগে খেলে অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সময়ে দেহে শক্তির অভাব ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘পোস্ট ওয়ার্কআউট’ পর্বে বা শরীরচর্চার পরে কলা খাওয়া যেতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বজায় রাখার পাশাপাশি পেশির পুর্নগঠনে সাহায্য করে কলা।
আরও পড়ুন:
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে খেজুর
খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকে। আকারে ছোট এবং দ্রুত হজম হয় খেজুর। তাই শরীরচর্চার আগে খেজুর খাওয়া উপকারী। পেশির গঠন ঠিক রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে খেজুর। খেজুরে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট সহজে হজম হয় বলে প্রি-ওয়ার্কআউটে খেজুর খেলে উপকার বেশি।
কলা বনাম খেজুর
কলা এবং খেজুর, উভয়েই শরীরচর্চার আগে ছোট স্ন্যাক হিসেবে উপকারী। কিন্তু কলার তুলনায় এ ক্ষেত্রে খেজুর কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। কারণ খেজুরে উপস্থিত প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফাইবার কলার তুলনায় দ্রুত হজম হয়। ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি পায় দ্রুত। অন্য দিকে, শরীরচর্চার পরে কলা বেশি উপকারী। কারণ, কলা অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং ধীরে ধীরে হজম হয়। তবে কলা এবং খেজুরের মধ্যে যে কোনও একটিকে শরীরচর্চার আগে খাওয়া যেতে পারে। সিদ্ধান্তটি একান্তই ব্যক্তিগত।