ফুসফুস ভাল রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
ফুসফুসের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। অত্যধিক বায়ুদূষণ, নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস এবং আরও বেশ কিছু কারণে ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বয়স বাড়লে নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফুসফুস ভাল রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তার মধ্যে অন্যতম হল স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার এবং পানীয় নিয়মিত খাওয়া। যেগুলি আবার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে।
লেবু জল
সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। এই পানীয় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও ফুসফুস ভাল রাখে। সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। অনেক সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গরম জল খেলে স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে গরমজলে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ওট্স এবং বেরি
সকালের জলখাবারে ওট্স থাকে অনেকেরই। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ওট্সের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন ব্লুবেরি কিংবা স্ট্রবেরি। বেরিজাতীয় ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। যেগুলি ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করে।
পালংশাকের স্মুদি
শরীরের খেয়াল রাখতে পালংশাক অত্যন্ত উপকারী। ফুসফুস ভাল রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। পালংশাক রান্না করে খাওয়ার চেয়েও বানিয়ে নিতে পারেন স্মুদি। সঙ্গে শসা, আপেলও থাকতে পারে। স্মুদি তৈরি হয়ে গেলে উপর থেকে লেবুর রস ছ়ড়িয়ে দিতে পারেন।
সব্জির স্যুপ
শাকসব্জি যে শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বিন্স, ধনেপাতা, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই স্যুপ। সকালের জলখাবারে কিংবা রাতেও এই স্যুপ খেতে পারেন।
টোফু
দুগ্ধজাত খাবারে এমনিতেই প্রোটিন, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও টোফুর আরও একটি গুণ হল ফুসফুসের যত্ন নেওয়া। টোফু দিয়ে বিভিন্ন স্যালাড বানিয়ে নিতে পারেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে, অচিরেই তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy