Advertisement
E-Paper

ঘন ঘন বাতকর্মের ফলে অপ্রস্তুত হতে হয়? রোজের ৫ অভ্যাস অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে গ্যাসের সমস্যা

ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই, তা ছাড়া রোজের জীবনে এমন কিছু বদভ্যাস অনেকেরই আছে, যা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে। সব সময়ে যে কড়া ডায়েট করতেই হবে তা নয়, বরং কিছু অভ্যাস বদলালেই পেটের সমস্যা থেকে চিরতরে রেহাই পাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:২০
ঘন ঘন বাতকর্মের ঠেলায় অস্থির?

ঘন ঘন বাতকর্মের ঠেলায় অস্থির? ছবি: শাটারস্টক।

গ্যাস পেটে চেপে রাখলে শারীরিক সমস্যা বাড়ে। অগত্যা বাতকর্ম না করলে রেহাই নেই! যত্রতত্র বাতকর্ম কি আপনাকে বিড়ম্বনায় ফেলে? লোকজনের বাঁকা নজর, সমালোচনার লজ্জায় লাল হয়ে যায় মুখ! বিভিন্ন গবেষণায় কিন্তু বলা হয়েছে, বাতকর্ম আদতে সুস্থতার লক্ষণ। বাতকর্ম কেমন হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আপনার হজমশক্তি আদৌ ঠিক আছে কি না। ছয় ধরনের বাতকর্ম লক্ষ করলেই বোঝা যাবে, আপনি কতটা সুস্থ। ঘন ঘন বাতকর্মের ফলে হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়বিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে দিনে ৫ থেকে ৭ বারের বেশি বাতকর্ম হলে সমস্যা হয়। কোনও কিছুই আবার অত্যধিক ভাল নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই, তা ছাড়া রোজের জীবনে এমন কিছু বদভ্যাস অনেকেরই আছে যা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে। সব সময়ে যে কড়া ডায়েট করতেই হবে তা নয়, বরং কিছু অভ্যাস বদলালেই পেটের সমস্যা থেকে চিরতরে রেহাই পাওয়া যাবে।

১) দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকা: যে কোনও খাবার পুরোপুরি হজম করতে মানুষের শরীর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় নেয়। অর্থাৎ যে কোনও দুটি খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৪ ঘণ্টার বেশি হতে হবে। এর চেয়ে কম ব্যবধানে খেলে অতিরিক্ত খাবারের দরুণ বদহজম এবং এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে খেলে অম্বল হবেই। পেটফাঁপার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

২) প্রাতরাশ না করা: রাতে খাবার পর আবার পরের দিন দুপুরে খাওয়া। প্রাতরাশ না করলে অনেকটা সময় পেট খালি থাকে। আর খালি পেটে বেশি ক্ষণ থাকলেই কার্বোহাইড্রেট, সুগার ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের প্রতি ঝুঁকি বাড়ে এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন অনেকে, ফলে পেটের গোলমাল লেগেই থাকে।

৩) বেশি রাতে ভাজাভুজি: পুষ্টিবিদের কথায়, ১০টা বা ১১টার পরে রাতের খাবার খাওয়ার পরে শুতে গেলে হজমের গন্ডগোল তো শুরু হবেই, অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দেখা দেবে। বেশি রাতে লুচি-পরোটা খেয়ে ফেললেন অথবা বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খেলেন, তাতে পেটের সমস্যা আরও বাড়বে। রাতের দিকে পরিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। পাকস্থলী ওই সময়ে বেশি তেল বা মশলা পরিপাক করতে পারে না। ফলে তা টক্সিন হয়ে জমতে শুরু করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া সারতে হবে এবং রাতে খুব হালকা কিছুই খেতে হবে।

৪) ডায়েটে ফাইবারের ঘাটতি: আপনি হয়তো ভাবছেন যে, কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিন গ্রহণ করার ফলে আপনার ওজন কমবে এবং আপনি ফিট থাকবেন। তা কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদের বক্তব্য, ফাইবার কম খেলেই ওজন বাড়বে। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তো কমবেই, অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও কমবে। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে, কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগাবে এবং সব সময়েই ক্লান্ত, অবসন্ন লাগবে।

৫) খাওয়ার পরেই ঘুম: দুপুরে হোক বা রাতে, খাওয়া সেরেই ঘুমিয়ে পড়লে বদহজম তো হবেই। খাওয়া ও ঘুমোনোর মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। খেয়েই শুয়ে পড়লে বদহজম, বুকজ্বালা, অম্বল, ওজন বৃদ্ধি, এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনে হাঁটাহাঁটি করুন। দুপুরের খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে প্রাণায়াম বা হালকা যোগাসন করে নিলেও অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে যাবে।

Acidity Hacks Gastric Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy