মাতৃত্বকালীন শারীরিক অনেক সমস্যাই ঠেকিয়ে রাখা যায় যোগাসন অভ্যাসের মাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত।
মা হওয়ার দিন এগিয়ে আসছে। এই সময়ে অনেকটা ভয় এবং কিছুটা আনন্দের মিশেলে অদ্ভুত এক মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান বেশির ভাগ মেয়ে। সন্তানধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া পর্যন্ত মেয়েদের শরীর এবং মন যে ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারেন না সকলে। অনেকেই অস্ত্রোপচারের ভয়ে স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে চান। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। শরীর এবং মনকে সেই ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। এই সময়ের কথা মাথায় রেখেই যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে হবু মায়েদের জন্য বিশেষ যোগাসনের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরাও হবু মায়েদের এই ধরনের যোগচর্চা অভ্যাস করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যোগাসন করবেন কেন?
১) প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, শরীরে নানা রকম ব্যথা-বেদনাও বেড়ে যেতে থাকে। পা ফোলা, কোমর, তলপেটের অংশে অস্বস্তি বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই শরীরের অবস্থা বুঝে বহু প্রশিক্ষকই যোগাসন করার পরামর্শ দেন হবু মায়েদের।
২) প্রায় ১০ মাস নিজের শরীরের ভিতর আরও একটি প্রাণ বে়ড়ে ওঠার অনুভূতি যেমন আনন্দের তেমন কষ্টেরও। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হার্ট, লিভার, কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তেই পারে। এই চাপ কিছুটা হলেও প্রশমিত করা যায় নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করলে।
৩) গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটতে শুরু করে জঠরের মধ্যে থাকতেই। হবু মায়ের সাধারণ কিছু প্রাণায়াম, যোগাসন, ব্রিদিং এক্সসারসাইজ় ভ্রূণের সামগ্রিক বেড়ে ওঠার পরিপন্থী।
৪) হবু মা যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে প্রসব করতে পারেন, সেই ধারণা থেকেই যোগাসনের সূত্রপাত। তবে স্বাভাবিক ভাবে প্রসব না করলেও মা এবং সন্তানের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য যোগাসন অভ্যাস করা জরুরি।
৫) মাতৃত্বকালীন শারীরিক অনেক সমস্যাই ঠেকিয়ে রাখা যায় যোগাসন অভ্যাসের মাধ্যমে। অস্ত্রোপচার হোক বা স্বাভাবিক প্রসব— মায়েদের শরীর এবং মনের উপর দিয়ে যে ধরনের ধকল যায়, তার সঙ্গে মানিয়ে উঠতে গেলে যোগাসন করা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy