ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করলে সুস্থ থাকা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। খাবারে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের যত্ন নেয় ভিতর থেকে। তবে বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্র একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে সব চেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে। তার উপর ওজন কমানোর তাগিদে ডায়েট তো আছেই। সব মিলিয়ে যতটুকু খাবার প্রয়োজন, শরীর তা পায় না। ফলে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়। এ সবই শরীরের অন্দরের ব্যাপার। বাইরে থেকে বোঝার কি কোনও উপায় আছে? বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক সৌরভ শেট্টী জানাচ্ছেন, এমন কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখলে বোঝা যাবে শরীরে ঠিক কোন পু্ষ্টিগুণের অভাব ঘটছে।
চিকিৎসক সৌরভ ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে এই বিষয়ে সচেতন করেছেন। শরীরে কোন কোন উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি তার হদিস দিলেন চিকিৎসক।
ফাইবারের ঘাটতি: শরীরে ফাইবারের ঘাটতি হলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। শুরুর দিকে অন্য উপসর্গও চোখে পড়তে পারে। পেট ভরে খেয়েও খিদে পেলে, সেই লক্ষণও শরীরে ফাইবারের ঘাটতির উপসর্গ হতে পারে।
প্রোটিনের ঘাটতি: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে সবার আগে তার প্রভাব পড়ে পেশির উপর। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির বড় লক্ষণ হল সারা ক্ষণ ক্লান্তিভাব। আবার, ভুলে যাওয়ার সমস্যাও কিন্তু সব সময় অ্যালঝাইমার্সের লক্ষণ নয়, হতেও পারে এটা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির উপসর্গ।
ক্যালশিয়ামের ঘাটতি: শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মানেই যে হাড়ের ক্ষয় শুরু হবে এমনটা নয়। নিয়মিত হাতপায়ের আঙুলে ঝিঁঝি ধরাও শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
জ়িঙ্কের ঘাটতি: খিদে কমে যাওয়া, কিছুতেই খেতে ইচ্ছে না করা, শরীরে জ়িঙ্কের ঘাটতির লক্ষণ হতেই পারে। সর্দি হয়নি তবুও নাকে গন্ধ না পেলে, কিছু খেলে তার স্বাদ না পেলেও সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়া কোনও ঘা শুকোতে দেরি হলেও সাবধান হতে হবে। হতেই পারে এটি শরীরে জ়িঙ্কের ঘাটতির উপসর্গ।
আয়রনের ঘাটতি: পুষ্টিবিদের মতে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে তার প্রভাব সবার আগে পড়ে ত্বক ও চুলের উপর। চুল পড়ে যাওয়া, চোখের তলায় কালচে ছোপ পড়লে সতর্ক হোন, এটি হতেই পারে আয়রনের ঘাটতির উপসর্গ। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরেও যদি সারা দিন ক্লান্ত বোধ করেন, তা হলে সেটাও ভাল লক্ষণ নয়। এটিও শরীরে আয়রনের ঘাটতির উপসর্গ।