ক্লান্তি আর ঝিমুনি নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্তি কাটতে চায় না। উঠতে-বসতে টান ধরে পেশিতে। সিঁড়ি ভাঙতে গেলেন, দুই-তিন ধাপ উঠেই হাঁপিয়ে গেলেন। একটু বেশি পরিশ্রম মানেই গায়ে, হাত-পায়ে নিদারুণ ব্যথা। এমন সমস্যা কমবেশি সকলেরই। এর অন্যতম বড় কারণ হল জীবনযাপনে অনিয়ম। ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি হলে এমন ক্লান্তি ভাব বাড়ে। খিদে পেলেই রোল-চাউমিন বা পিৎজ়া-বার্গারে মন ভরে ঠিকই, কিন্তু শরীর ভিটামিন পায় না। যে কারণেই পেশির সক্রিয়তা কমে ও ব্যথাবেদনা ভোগায়।
ক্লান্তি যাবে কী উপায়ে?
কোন কাজে অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে, সেটি বুঝে চাপ কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে কোন সময় কী ভাবে কাজ করলে সুবিধা হতে পারে, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে টানা কাজ না করে মাঝেমধ্যে একটু বিশ্রাম নেওয়ার।
আরও পড়ুন:
খুব ক্লান্ত লাগলে মিনিট দশেক সময় নিয়ে টান টান হয়ে বসে গভীর ভাবে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। এই প্রক্রিয়ায় মন একটু শান্ত হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল করতে দিনে নিয়ম করে কিছুক্ষণ প্রাণায়াম করুন। মাসখানেক প্রাণায়াম অভ্যাস করলেও মনের বদল সামান্য হলেও টের পাওয়া যাবে।
পর্যাপ্ত জল খেতেই হবে। অনেকেই কাজ শেষ করার তাড়ায় জল কম খান। বদলে নরম পানীয়ে চুমুক দেন। এই অভ্যাস খুবই খারাপ। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বেশি মিষ্টি দেওয়া পানীয় খেলে তা ক্লান্তি, মানসিক চাপ আরও বাড়াবে। ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়িয়ে দেবে।
যদি সম্ভব হয় খোলা জায়গায় হাঁটুন। হালকা ব্যায়াম করুন। সকালে হাঁটতে না পারলে বিকেলে মিনিট ১৫ সময় বার করে নিয়ে অফিসের ক্যাম্পাসে বা রাস্তাঘাটেই হেঁটে নিন। খোলা হাওয়ায় বেরোলে মন ভাল হবে। ক্লান্তি দূর হলে কাজ করতেও সুবিধা হবে।