রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস কোন বিপদ ডাকছে? ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে মোটেই খেতে ইচ্ছে করে না। একটু জিরিয়ে হাত-পা ধুয়ে নেন কেউ কেউ। সারা দিনের ক্লান্তির পর আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরে ওয়েব সিরিজ় দেখেন বিনোদনের জন্য। সিরিজ় দেখতে দেখতে কখন রাত ১২টা বেজে যায়, খেয়ালও থাকে না। আবার অনেক দিন অফিসে ‘নাইট শিফ্ট’ করে ফিরতেও দেরি হয়ে যায়। এই সব নানা অছিলায় কারও কারও রাতের খাবার খেতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। মানবশরীর একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি মেনে চলে। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া এবং ঘুমেরও সময় নির্দিষ্ট থাকে। সেই দেহঘড়ির নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯টার পর শরীরের সমস্ত কলকব্জা সুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময়ে যদি খাবার খেয়ে প্রায় বন্ধ হতে চলা কলকব্জা আবার চালু করতে হয়, সে ক্ষেত্রে দেহঘড়ির ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেরই পরামর্শ, শুতে যাওয়া এবং রাতের খাওয়ার সময়ের মধ্যে অনন্ত ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধান রাখা জরুরি।
দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস কোন কোন রোগ ডেকে আনে?
১) দেরি করে খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে রাতে দেরি করে ঘুমোতে যাওয়ারও যোগ রয়েছে। আর দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়া কিন্তু মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদের কারণ হতে পারে।
২) রাতে অনেকেই ভারী খাবার খান। বিরিয়ানি, চাউমিন, ভাত-মাংসের মতো ভারী খাবার মাঝরাতে খেলে সেই খাবার মোটেও হজম হতে চায় না। সারা বছর ধরে গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগার অন্যতম কারণ কিন্তু রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস। রাতে যত হালকা খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল।
৩) রাত যত বাড়ে ততই শরীরের বিপাকহার কমে যায়। ফলে শরীরে ক্যালোরির দহন কমে যায়। সেই সময় বেশি করে ক্যালোরি গ্রহণ করলে সেই সব ক্যালরি ফ্যাট হয়ে শরীরের আনাচকানাচে জমতে শুরু করে। আর এই কারণেই বেড়ে যায় ওজন।
৪) রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া হৃদ্রোগও ডেকে আনতে পারে এই অভ্যাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy