ওজন কমানোর জন্য বা পেশিগঠনের জন্য অনেকে জিমে যান। কিন্তু জিম শুরু করার পাশাপাশি ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। অনেকে পুরো খাবারের পরিমাণই হুট করে কমিয়ে দেন। তা কতটা স্বাস্থ্যকর? পরে কঠিন অসুখের শিকার হয়ে পড়বেন না তো? জিম জয়েন করলে বা নিয়মিত জিম করলে কী ধরনের খাবার খাবেন, জেনে নিন।
কী কী সমস্যা হতে পারে?
পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরী বলছেন, “জিম শুরু করেই খাবার কমিয়ে দ্রুত রোগা হওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তখন অনেকেই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন বাড়িয়ে দেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট মিলে মেটাবলিক পাথওয়েটা চলে। সেই জায়গাটা নষ্ট করে ফেললে অতিরিক্ত ফ্যাট মোবিলাইজ় হবে না, তা শরীরেই জমা হবে। ফলে সেন্ট্রাল ওবেসিটি বাড়বে। এতে এনার্জিও কমে যায়। তা থেকে শরীর ক্যাটাবলিক স্টেটে চলে যায়। জিম করার সময়ে ভুল ডায়েট অনেক মানুষকেই ক্যাটাবলিক স্টেটে পাঠিয়ে দেয়। এমন অনেক রোগীকে আমরা পাই। ফলে পরবর্তীতে এঁদের শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধলে তার সঙ্গে লড়াই করার শক্তি থাকে না।”
তা ছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে কিডনির উপরেও চাপ পড়তে পারে। কোয়েলের কথায়, “অনেকেই জিম সাপ্লিমেন্ট নেন। বেশির ভাগ প্রোটিন। এতে কিডনির উপরে ভীষণ চাপ পড়ে। তা থেকে কিডনি স্টোন হয়, কিডনি ফেলিয়োরের আশঙ্কাও থাকে। এই কারণে কমবয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এখন কিডনি স্টোন বেশি দেখা যাচ্ছে।” তাই প্রোটিনের পরিমাণও নির্দিষ্ট হবে।
অনেকে আবার জিম জয়েন করার সঙ্গে কিটো ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চালিয়ে যান। এই ডায়েট সকলের শরীরে সহ্য না-ও হতে পারে।
তাই কী ধরনের ব্যায়াম করছেন, ওজন কমানোর জন্য নাকি পেশিগঠনের জন্য... সেটা বুঝে পুষ্টিবিদের পরামর্শে ডায়েট পরিকল্পনা করুন। এতে শরীর সার্বিক ভাবে সুস্থ ও সুঠাম থাকবে।
কী কী খাবেন?
মনে রাখবেন
জিম জয়েন করার আগে হোল বডি রুটিন চেকআপ করে নিন। সেই অনুযায়ী পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy