স্থূলতার হাত ধরে যে সব রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক জীবনযাত্রা থাবা বসাচ্ছে শরীরে। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, শরীরচর্চা না করা, কাজের প্রয়োজনে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা— এই কারণগুলির হাত ধরে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। স্থূলতার হাত ধরে যে সব রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার ফলে মেদ লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। চিকিৎসকদের মতে, লিভার সাধারণত ৫ থেকে ৬ শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হতে থাকলেই তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে সিরোসিস অফ লিভারও হতে পারে।
তাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করতে খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডাবের জল ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের অন্যতম ওষুধ হতে পারে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ডাবের জল কেন উপকারী?
১) ফ্যাটি লিভার হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে শরীরে জলের ঘাটতি। ডাবের জল সেই শূন্যস্থান পূরণ করে। লিভার ভাল রাখতে ডাবের জল অন্যতম বিকল্প হতেই পারে। ডাবের জল হল ইলেক্ট্রোলাইট এবং পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদানগুলি লিভারের জন্য ভাল বলে পরিচিত।
২) ডাবের জলে রয়েছে ভিটামিন সি, পলিফেনলসের মতো নানা উপকারী উপাদান। এ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণও কম নয়। এই উপাদানগুলি লিভার সংক্রমণ ছ়়ড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়। ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমানোর এর চেয়ে ভাল উপায় আর কী হতে পারে?
৩) লিভার সুস্থ রাখার জন্য শরীরে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা চাই। এগুলি লিভারের যত্ন নেয়। লিভার সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। ডাবের জলে এই উপাদানগুলি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।
৪) শর্করা লিভারের ক্ষতি করে। বাজারচলতি ফলের রস, নরম পানীয়তে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এগুলি খেলে লিভারের ক্ষতি হয়। কিন্তু ডাবের জলে শর্করার পরিমাণ একেবারেই কম। তাই ফ্যাটি লিভারে ভুগলে চোখ বন্ধ করে চুমুক দিতে পারেন ডাবের জলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy