প্রতীকী ছবি
শীতকাল মানেই ভালমন্দ খাওয়া, অনুষ্ঠান, ঘোরাঘুরি ইত্যাদির আনন্দ। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অতিমারির করাল থাবা সেই আনন্দের সিংহভাগই কেড়ে নিয়েছে। তা ছাড়া এই সময় আবহাওয়ার বদল ঘটে দ্রুত। সব বয়সের মানুষই শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদির প্রকোপে নাজেহাল হন নিয়মিত। এমন ক্ষেত্রে বাজারচলতি কড়া ওষুধের বদলে যদি আয়ুর্বেদের উপর ভরসা রাখেন, তবে উপকার পেতে পারেন আপনি। এই সময় খেতে পারেন 'কাড়া' বা ভেষজ দিয়ে তৈরি পানীয়। এতে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও। তা ছাড়া এই ধরনের পানীয়ের কোনও নেতিবাচক প্রভাবও থাকে না।
১। ৭-৮টি তুলসী পাতা, এক টুকরো আদা, কয়েক কোয়া রসুন, ১ চা চামচ মেথির দানা, অল্প কাঁচা হলুদ এবং একটু গোলমরিচ ১ লিটার জলে ফোটান। যতক্ষণ না জল অর্ধেক কমে যায় ততক্ষণ ফোটানোর পর নামিয়ে নিন এবং প্রতিদিন সকালে এটি পান করুন।
২। শ্বাসের সমস্যা আছে, এমন মানুষের জন্য গরম জলের বাষ্পে শ্বাস নেওয়া বা স্টিম ইনহেলেশন নেওয়া ভীষণ উপকারী। এর জন্য ফুটন্ত জলে কিছু জোয়ান, ইউক্যালিপটাস তেল বা খুব অল্প কর্পূর যোগ করুন। নিয়মিত এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেলে গলার কষ্ট কমবে অনেক।
৩। প্রচুর পরিমাণে জীবাণুরোধক বৈশিষ্ট রয়েছে মধুর। কাশি দমনকারী বাজারচলতি বহু ওষুধে মধু থাকে। কারণ মধু পুরু শ্লেষ্মা আলগা করে দেয়। ফলে কাশির কষ্ট কমাতে রাতে ঘুমানোর আগে এক চা চামচ মধু খান। এ ছাড়াও গরম জলে মধু দিয়ে নিয়মিত পান করলে সব বয়সের মানুষই উপকার পেতে পারেন। আপনার বিপাকের ক্ষেত্রেও মধু বিশেষ সহায়ক।
৪। দারচিনিতে রয়েছে আশ্চর্য ভেষজ গুণ। এই সুগন্ধি মশলাটির একাধিক উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হল এই যে, সর্দি এবং কাশি থেকে মুক্তি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া গলাব্যথাতেও দুর্দান্ত কাজ দেয় এটি। সাধারণ সর্দি সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে দারচিনি। আপনি রোজকার চায়ে অল্প দারচিনি মিশিয়ে খেলে অল্প দিনেই পাবেন প্রভূত উপকার।
৫। শীতকালে আদা দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন অনেক মানুষই। এক কাপ সদ্য প্রস্তুত গরম আদা-চা অবিলম্বে আপনার জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি কমিয়ে দিতে পারে। আদার মধ্যে থাকা যৌগগুলি শ্লেষ্মাঝিল্লির প্রদাহ কমিয়ে ফেলে। বয়স্ক মানুষদের তাই বিশ্বের বহু চিকিৎসক শীতকালে আদা দিয়ে দিনে দু’বার চা খেতে পরামর্শ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy