Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Energy Boosting Tips

অফিসের চাপ আর জীবনের জটিলতায় সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগে? রোজের রুটিনে খানিক বদল আনুন

শরীরের প্রতি চরম অবহেলা ক্লান্ত হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ । কিন্তু দীর্ঘ দিন এমন চললে যেকোনও রোগ জাঁকিয়ে বসবে শরীরে। সেই ঝুঁকি এড়াতে রোজের জীবনে আনতে হবে বদল।

‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’।

‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ১৩:৫১
Share: Save:

এক দিকে কর্মক্ষেত্রে বিপুল চাপ, অন্য দিকে ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা— সব মিলিয়ে শরীরের পাশাপাশি মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। তার উপর নিজের খেয়াল রাখারও সুযোগ মেলে না। তাই সারা ক্ষণই ক্লান্তি ভাব যেন ঘিরে রাখে। এটা অনেকেরই চেনা সমস্যা। সকালের পর একটু বেলা গড়াতেই চনমনে ভাব উধাও হয়ে যায়। তখন সঙ্গী শুধু ঘোর আর ক্লান্তি। চিকিৎসকেরা অবশ্য বলেন, এ সবই শারীরিক দুর্বলতার লক্ষণ। অপর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া না করা— এমন কিছু কারণেই দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। তা ছাড়া শরীরের প্রতি চরম অবহেলা তো আছেই। কিন্তু দীর্ঘ দিন এমন চললে যেকোনও রোগ জাঁকিয়ে বসবে শরীরে। সেই ঝুঁকি এড়াতে রোজের জীবনে আনতে হবে বদল।

১) ইঁদুরদৌড়ের জীবনে ঘুমের ঘাটতি থেকেই যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারা ক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব ঘিরে থাকে। কাজেও ঠিক মতো গতি আসে না। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

২) কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে থাকেন। আবার সেগুলি এড়িয়েও যান। শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি, সুস্থ থাকতে যত্ন নিন মনেরও।

৩) অনেকেই আছেন, যাঁরা বরাবরই অন্তর্মুখী। সব কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। ফলে এই অন্তর্মুখী চাপ শরীর ও মন উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। ক্লান্ত লাগে। তাই মনে কোনও কথা চেপে না রেখে বরং বলে ফেলুন।

৪) অফিসের ব্যস্ততায় ঘুরতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? জীবনে কাজ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে সুস্থ রাখা ততটাই গুরুত্ব বহন করে। ব্যস্ততা থাকবে, তার মাঝেও নিজের জন্য সময় আপনাকেই বার করে নিতে হবে। একঘেয়েমি কাটাতে পাড়ি দিন অন্য কোথাও। এতে শরীর ও মন ভাল থাকবে। কাজেও গতি ফিরবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Energy Boost Energy office
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE