Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Snoring

আপনার নাসিকাগর্জনে সঙ্গী বিরক্ত? রাতে শান্তিতে ঘুমাতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?

নাক ডাকা অনেকের কাছেই খুব সাধারণ ব্যাপার। এই ধারণা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। জটিল কোনও রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে এই অভ্যাস। নাক ডাকার সমস্যা দূরে রাখতে রোজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।

নাক ডাকার সমস্যা থেকে দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।

নাক ডাকার সমস্যা থেকে দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৭
Share: Save:

নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। যদিও যাঁর এ সমস্যা রয়েছে, তিনি বিশেষ টের পান না। যাঁরা নাসিকাগর্জনের সাক্ষী থাকেন, তাঁরাও অনেক সময় বিরক্ত হন এই বিষয়টি নিয়ে। নাক ডাকা অনেকের কাছেই খুব সাধারণ ব্যাপার। এই ধারণা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। জটিল কোনও রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে এই অভ্যাস। চলতি ভাষায় যাকে নাক ডাকা বলে, সেই শব্দটা কিন্তু নাক থেকে আসে বললে ভুল হবে। বরং শব্দটা তৈরি হয় গলা আর নাকের মাঝখানের অংশ থেকে। সেখানে বাতাসের গতিবিধি কোনও ভাবে বাধা পেলে শব্দের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। তবে বেশি দিন এ রকম চলতে দেওয়া ঠিক নয়। নাক ডাকার সমস্যা থেকে দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

শারীরিক কসরতের অভ্যাস অনেক সমস্যার সমাধান করে সহজেই। তার মধ্যে অন্যতম নাক ডাকার অভ্যাস। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ঘুমের ঘাটতির অন্যতম কারণ। ঠিক করে ঘুম না হলে নাসিকাগর্জনের সমস্যা দ্বিগুণ হয়। তাই নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে অল্প সময়ের জন্য হলেও ধারাবাহিক ভাবে শরীচর্চা করা প্রয়োজন।

নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই।

নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। প্রতীকী ছবি।

রাতে ভারী খাবার খাবেন না

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার আরও একটি কারণ হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খাওয়া। বেশি তেল-মশলা জাতীয় খাবার রাতে খেলে ঘুম আসতে চায় না। আবার ঘুমিয়ে পড়লেও ঘুমের মধ্যে শুরু হয় নাসিকাগর্জন। তাই রাতের খাবার অল্প এবং হালকা হওয়াই ভাল। এ ছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া জরুরি। তাতে নাক ডাকার সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকুন

এই দু’টি অভ্যাস শরীরের জন্য পক্ষে একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীরের অভ্যন্তরে নানা ক্ষতি ডেকে আনে তো বটেই। সেই সঙ্গে নাক ডাকারও কারণ হয়ে ওঠে। অত্যধিক মাত্রায় ধূমপান এবং মদ্যপানের কারণেও নাক ডাকার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

জলের ঘাটতি

শরীরে জলের ঘাটতি নাক ডাকার কারণ হতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দেয়। নাক ডাকা তার মধ্যে একটি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। নাক ডাকার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Snoring Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE