দরজা, জানলা বন্ধ করে ঘরে এসি চালালে এই সব ধূপ বা স্প্রে কোনওটিই ব্যবহার করা যায় না। ছবি- সংগৃহীত
গরম যেমন পড়ছে, তেমন পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার দাপট। শহরাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা খুব একটা না থাকলেও সন্ধ্যা হলেই মশার ভনভন শুরু হয়ে যায়। মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হলেও অনেকেই গরমের চোটে তা ব্যবহার করেন না। বদলে জ্বালান মশার ধূপ, স্প্রে করেন রাসায়নিক দেওয়া ‘রেপেলেন্ট’। অনেকে আবার মশা তাড়ানোর জন্য ছোটদের গায়ে নানা রকম ক্রিমও মাখান। মশা তাড়াতে এই সব জিনিস ব্যবহার করার ফল যে ভাল নয়, তা বলে থাকেন চিকিৎসকেরাই। এ ছাড়া, মশার ধূপের ধোঁয়া থেকেও ফুসফুসে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। দরজা, জানলা বন্ধ করে ঘরে এসি চালালে এই সব ধূপ বা স্প্রে কোনওটিই ব্যবহার করা যায় না। সে ক্ষেত্রে মশা তাড়ানোর উপায় কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কিছু তেল রয়েছে, যেগুলি মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা যেতেই পারে।
কোন কোন তেল মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন?
১) সিট্রানিলা অয়েল
বালতিতে অর্ধেকটা জল নিয়ে তার মধ্যে ৫ মিলিলিটার সিট্রানেলা অয়েল মিশিয়ে নিন। দিনে দু’বার এই জল ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া অয়েল ডিফিউজ়ারেও কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে রাখতে পারেন।
২) নিম তেল
ঘরের আনাচকানাচে, ফুলদানিতে রাখা নকল ফুলে কয়েক ফোঁটা নিম তেল দিয়ে রাখুন। নিম তেলের উগ্র গন্ধে মশা ধারকাছে ঘেঁষবে না।
৩) চন্দনের তেল
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা চন্দন তেল মিশিয়ে নিন। চন্দনের গন্ধে মশা বুঝতেই পারবে না গায়ের কোন অংশে কামড় দেওয়া যায়।
৪) রসুন
রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধে মশা ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। রসুনের তেলের গন্ধ যদি সহ্য করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা ছড়িয়ে দিলেই মশাদের উৎপাত বন্ধ হবে।
৫) পুদিনা
অয়েল ডিফিউজ়ারের মধ্যে কয়েক ফোঁটা পুদিনার তেল দিয়ে রাখুন। সন্ধের মুখে জানলা-দরজা খোলা রাখলেও মশা চৌকাঠ পেরোতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy