Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৩
Paracetamol’s Side-effects

ডেঙ্গির দাপটের মাঝে যথেচ্ছ প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে কেন সতর্ক হবেন

লাগামছাড়া প্যারাসিটামল খাওয়া কিন্তু মোটেই ভাল কথা নয়। এই ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। না হলে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ডেঙ্গি আবহে জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে কেন সতর্ক থাকবেন?

Side-effects of paracetamol that every dengue patient should know.

প্যারাসিটামল খাবার আগে সাবধান! ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৭
Share: Save:

কখনও প্রচণ্ড গরমের কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু! আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় জ্বর জ্বর ভাব! আর এই অল্প জ্বরে ভরসা সেই প্যারাসিটামল। এর সঙ্গে এখন জুড়েছে ডেঙ্গির আতঙ্ক। সংক্রমণ হলে তো কথায় নেই, সংক্রমণের ভয়েই অনেকে ঘন ঘন প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলছেন। কিন্তু লাগামছাড়া প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই ভাল কথা নয়। এই ওষুধ খাবার বিষয়ে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। না হলে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ডেঙ্গি আবহে জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে কেন সতর্ক থাকবেন?

জ্বর কমাতে চিকিৎসকেরাও প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন, জেনে নিন তাঁদের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন প্যারাসিটামল খেলে শরীরের ঠিক কী কী ক্ষতি হয়?

১) বেশি প্যারাসিটামল খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যা হতে পারে।

২) দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাসিটামল খেতে থাকলে লিভারের উপর তার প্রভাব পড়ে। ঘন হলুদ রঙের প্রস্রাব, হলুদ চোখ, তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা— লিভার খারাপ হওয়ার উপসর্গ হতে পারে।

৩) ঘন ঘন প্যারাসিটামল খেলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। হাতে পায়ে র‌্যাশ, শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।

Image of Fear.

ডেঙ্গি আবহে জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে কেন সতর্ক থাকবেন? ছবি: সংগৃহীত।

৪) দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাসিটামল খেলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। এর ফলে শরীরে রক্ত কণিকার উৎপাদন ব্যাহত হয়। শরীরে ভিতর পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না। তাই শরীর ক্লান্ত থাকে সব সময়।

ডেঙ্গি রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতির কারণ হতে পারে। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘‘এমনিতে প্যারাসিটামল খুব নিরাপদ ওষুধ। শরীরের ওজন বুঝে দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রামের বেশি প্যারসিটামল খাওয়া কখনওই উচিত নয়। ডেঙ্গি হলে শরীরের জলের ঘাটতি হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতার উপর প্রভাব পড়ে। অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এরই মাঝে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। দেহের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, ৬০ কেজি ওজন হলে ৬০০ মিলিগ্রামের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। দিনে ৬ ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE