১) লেবু আর ছাতুর শরবত: ছাতু হল এমন একটি খাদ্য, যা নানা ধরনের পুষ্টির উপাদানে ভরপুর। জলে ছাতু গুলে, তাতে পাতিলেবুর রস দিয়ে খেলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমন পেট থাকে ভর্তি। আবার ছাতুর পুষ্টিগুণ কর্মশক্তিও জোগায়। অনেকে এই শরবতে অল্প জিরে, পুদিনাও যোগ করে দেন। তাতে স্বাদ বাড়ে। শরীরের সঙ্গে মনও সতেজ থাকে।
২) গোলাপ দুধ: এক কাপ জলের সঙ্গে এক কাপ দুধ মেশান। ৪-৫টি গোলাপের পাঁপড়ি ফেলে দিন তাতে। কয়েকটি দানা এলাচ থেঁতো করে দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এ ভাবে। ফ্রিজ থেকে বার করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। সকালে ব্যায়াম করার পর এই দুধ খেলে শরীর সতেজ লাগবে, বাড়বে কর্মশক্তিও।
৩) পাকা কলা: বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে পারে এই ফল। রোজ যদি একটি করে পাকা কলা খেতে ভাল না লাগে, তবে একটু অন্য ভাবে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। একটি কলা ছোট গোল গোল টুকরো করে নিন। তার পর অল্প সাদা তেলে তা ভেজে উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন নারকেল কোরা আর লঙ্কা কুচি। বেশ অন্য রকম লাগবে খেতে। শরীর পুষ্টিও পাবে।
৪) লাউয়ের রায়তা: শসা দিয়ে রায়তা তো বানানো হয়েই থাকে। তবে গরমকালে লাউয়ের রায়তাও বানিয়ে দেখতে পারেন। লাউ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একেবারে ঝিরিঝিরি করে ঘষে নিন। তার পর অল্প জলে ভাপিয়ে নিন লাউ। উনুন থেকে নামিয়ে, জল ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে লাউ মিশিয়ে দিন। তার মধ্যে দিন বিট নুন, লঙ্কা কুচি আর পুদিনা পাতা। অল্প জিরে গুঁড়োও দিয়ে দিতে পারেন এই রায়তায়।
৫) সব্জির স্টু: অনেকেরই গ্রীষ্মকালে বিশেষ মাছ-মাংস খেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিনের জোগান তো দিতে হবে শরীরকে। বিভিন্ন রকম সব্জি ছোট ছোট করে কেটে সেদ্ধ করে নিন। সেই স্টুর উপর অল্প মাখন আর গোলমরিচ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। শরীর আরাম পাবে। আবার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও মিলবে।