খাওয়ার পরেই মিষ্টি খেতে মন চায়? ছবি: শাটারস্টক।
হালকা খিদে পেলেই ফোনের দিকে চলে যায় চোখ। খোন রেস্তরাঁয় কোন অফার চলছে সেই অনুযায়ী হয় অর্ডার! ভাজাভুজি, রোল-চাউমন, মোমো— এক এক দিন এক এক রকম ফরমায়েশ। আর এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে স্থূলতার মতো রোগ। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলি আমরা। কমে যায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। বিপদ বাড়ে।
পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারের মোট ক্যালোরির ২৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে এলে ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়। কাজেই দিনের প্রতিটি খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন যেন থাকে, এটি খেয়াল রাখতে হবে। খুব খিদে পেলে ভাজা বা প্রসেসড ফুডের আসক্তি বেড়ে যায়। কাজেই খিদে চেপে মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অল্প খিদে পেলেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিলে ভুলভাল খাওয়ার প্রতি আসক্তি কমে।
আসক্তি কাটানোর উপায় কী?
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিউয়িং গাম মুখে রাখলে মিষ্টি এবং নোনতা খাবারের আসক্তি কিছুটা কমে। তবে তা যেন সুগার–ফ্রি হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
২) শরীরে জলের ঘাটতি না হলে খাই খাই ভাব একটু কমই হয়। কাজেই দিনে কম করে আড়াই–তিন লিটার জল খান। অল্প করে, বার বার। এ ক্ষেত্রে ডিটক্স ওয়াটারের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
৩) ঘুম কম হলে ভাজা বা মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে। কাজেই ভাল করে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। কখনও যদি কম ঘুমের ক্লান্তি গ্রাস করে চিনি ছাড়া কালো চা বা কফি খান দু’–এক কাপ।
৪) মানসিক চাপ বাড়লে গ্লুকোজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা হয়। তবে তার স্থায়িত্ব থাকে ৩–৫ মিনিট। সে সময়ে আড্ডায়-কাজে কাটিয়ে দিতে পারলে বিপদ কমে যায়।
হালকা খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর খাবার হাতের কাছে রাখুন। চিপ্সের বদলে খান স্বাস্থ্যকর কাজু, চিনেবাদাম বা আখরোট। তাতে মন না ভরলে অল্প করে পপকর্ন বা মাখানা খেতে পারেন। চকোলেট আসক্তি মাত্রা ছাড়ালে মিল্ক চকোলেটের বদলে খান ৭০ শতাংশ কোকাসমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট। ক্যান্ডি বা পেস্ট্রির নয়, তার বদলে কিসমিস বা খেজুর রাখুন হাতের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy