Advertisement
E-Paper

ডায়াবেটিকরা কোন ফল খেতে পারেন? দিনের কোন সময় ফল খেলে বাড়বে না সুগার?

ডায়াবিটিস রোগীর ক্ষেত্রে ফল খাওয়াতেও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সব ফল খাওয়া যায় না। কারণ, অনেক ফলেই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তা হলে তাঁরা কোন কোন ফল খেতে পারেন? কখন খেলে উপকার পাবেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ১০:৫৩
কোন ফল খেলে বাড়বে না সুগার?

কোন ফল খেলে বাড়বে না সুগার? ছবি: শাটারস্টক।

ডায়াবিটিস ধরা পড়লে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ইচ্ছামতো সব খাবার খাওয়া যায় না। মিষ্টি তো বটেই, সেই সঙ্গে বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে না চললে ডায়াবিটিস বশে রাখা সহজ নয়। তবে যে কোনও অসুস্থতাই হোক, নিয়ম করে ফল খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। ফলে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নানা উপাদান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে পেটের যত্ন নেওয়া— সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফল। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তবে ডায়াবিটিস রোগীর ক্ষেত্রে ফল খাওয়াতেও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে সব ফল খাওয়া যায় না। কারণ, অনেক ফলেই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জি.আই) উপরের দিকে, ডায়াবিটিস হলে সে সব খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কিছু ফলের জি.আই অনেক বেশি। তাই ডায়াবিটিস থাকলে সেই ফলগুলি একেবারে খাওয়া যাবে না। কয়েকটি ফলে জি.আই কম। সেগুলি কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন ডায়াবেটিকরা।

ডায়াবিটিস থাকলে ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ফল খাওয়ার পাশাপাশি কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম বলে একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে নিলেও চলবে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস থাকলে প্রতি দিন ১০০-১৫০ গ্রাম ফলের বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। জি.আই বেশি হোক বা না হোক, ফল খেলে কম করে খাওয়াই ভাল। কয়েকটি ফল রয়েছে, যেগুলি ডায়াবিটিস রোগীরা খেতে পারেন। আবার কিছু ফল রয়েছে ডায়াবেটিকদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

ডায়াবিটিস রোগীরা কোন ফলগুলি খেতে পারেন?

আপেল, পেয়ারা, মুসাম্বি, পেঁপে, তরমুজ— এই পাঁচটি ফল ডায়াবেটিকরা খেতে পারেন। এই ফলে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। সেই সঙ্গে ক্যালোরি, সোডিয়ামও অনেক কম পরিমাণে থাকে। অন্য দিকে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কোন ফলগুলি এড়িয়ে চলবেন?

আম, আতা, কাঁঠাল, কলা, সবেদা, আঙুর— এই ফলগুলি শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনায় অনেক বেশি। ডায়াবিটিস থাকলে ভুলেও খাবেন না এই ধরনের ফল।

কখন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর?

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভেবে ফল খেয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল বলেন, “খালি পেটে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে। বরং দিনের শুরুতে প্রোটিন এবং ফ্যাটের সমন্বয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে রক্তে বাড়তি শর্করা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই সারা দিন কাজ করার মতো এনার্জিও পাওয়া যাবে।” আবার খুব ভরা পেটে ফল খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদ। কারণ, ফলের মধ্যে থাকা ‘ফ্রুক্টোজ়’, অর্থাৎ, বাড়তি ক্যালোরি জমতে জমতে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে।

তা হলে কোন সময়ে ফল খাওয়া শরীরের জন্য ভাল?

১) সকালে ঘুম থেকে উঠে

ফল খাওয়ার আদর্শ সময় হল সকাল। কিন্তু একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়া যাবে না। সামান্য কিছু খেয়ে তার পর ফল খাওয়া যেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার পর ফল খেলে তা হজম হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ফলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং এনজ়াইমগুলি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। দিনের শুরুতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

২) জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে

সকালের জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হালকা খিদে পায়? এই সময়েও ফল খেতে পারেন। দুপুরের খাবার সহজে হজম হয়ে যায় এই টোটকায়। হজমশক্তি জোরদার করতে ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল, যেমন পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।

Tips For Diabetes Control Type 2 Diabetes Diabetes Risk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy