‘পিসিওএস’-এর প্রতিকার। ছবি- সংগৃহীত
জীবনযাত্রায় নানা রকম পরিবর্তন এলে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন হরমোনজনিত নানা রকম সমস্যা ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। ‘পিসিওএস’ তার মধ্যে অন্যতম। সাধারণ মানুষ থেকে বলিউডের তারকা, অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জন মেয়ের মধ্যে এক জন এই রোগের শিকার।
‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’-কে এক কথায় বলা হয় ‘পিসিওএস’। দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তনে মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তার উপর যদি স্থূলতার মতো দোসর থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। সমস্যা যদি গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতেই হবে। এ ছাড়াও পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন এবং কম কার্বহাইড্রেট হল পিসিওএস-এ আক্রান্তদের জন্য জুরুরি। শুধু তা-ই নয়, বিপাকজনিত সমস্যা কিংবা ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থাকলে এবং ওজন কমাতে চাইলেও এই ডায়েট কার্যকরী। তাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আগে খাবারের তালিকায় প্রোটিন যোগ করলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলতে পারে। প্রোটিনের মধ্যে ডিম সব থেকে ভাল। তাই নির্দ্বিধায় ডিম খাওয়া যায়।
প্রতি দিন খাবারে প্রোটিন যোগ করলে কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
১) প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য পেট ভর্তি থাকে। বার বার খিদের অনুভূতি বা খাওয়ার ইচ্ছেকেও নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন।
২) প্রোটিন হজম হতেও বেশ সময় লাগে। যার প্রভাবে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে।
৩) প্রোটিন ‘গ্লুকাগন’ নামক হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনটি শরীরে প্রাকৃতিক ইনসুলিনের কাজ করে। রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে গেলে, তা আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এই হরমোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy