শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে যেমন ত্বক গভীর ভাবে পরিষ্কার হয় না, তেমনই শ্যাম্পুও মাথার ত্বকের ধুলো-ময়লাটুকুই পরিষ্কার করে। মাথার ত্বকে জমা মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলার জন্য মুখের মতোই মাথাতেও স্ক্রাবিং বা এক্সফোলিয়েশন জরুরি।
চুলকোতে গেলে অনেক সময়ে নখের কোণে সাদা রঙের অবাঞ্ছিত জিনিস উঠে আসতে পারে। সেগুলি আসলে মাথার ত্বকে জমা মৃত কোষ। মাথার ত্বকের উপর জমতে জমতে আলাদা একটি স্তর গঠন করে ফেলতে পারে সেগুলি। এগুলি গভীর ভাবে পরিষ্কার হয় স্ক্রাব দিয়ে।
আরও পড়ুন:
কী উপকারিতা রয়েছে?
• এক্সফোলিয়েশনে মাথার ত্বকে রক্ত স়ঞ্চালন ভাল হয়। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে, চুলের গোড়াও মজবুত হয়।
• নিয়ম মেনে এক্সফোলিয়েশন করলে খুশকি বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হয়। মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
• এক্সফোলিয়েশনে চুল ঝরা কমে একই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিও ভাল হয়। আসলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরেই চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে।
আরও পড়ুন:
কত দিন অন্তর এক্সফোলিয়েশন জরুরি?
চুলের ধরন এক একজনের এক একরকম। কারও চুল ভীষণ তৈলাক্ত, শ্যাম্পু করার একদিনের মধ্যে চুল তেলতেলে হয়ে যায়। কারও চুলের ধরন রুক্ষ। চুলের ধরন অনুযায়ী এক্সফোলিয়েশন কত দিন অন্তর করা দরকার তা নির্ভর করে।
সাধারণ ত্বক: যাঁদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা শুষ্ক কোনওটিই নয়, তাঁদের জন্য সপ্তাহে একদিন, মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করা যথেষ্ট।
শুষ্ক ত্বক: মাথার ত্বক শুষ্ক হলে দুই সপ্তাহে একবার স্ক্রাব ব্যবহার করা দরকার। তবে তা যেন শুষ্ক ত্বকের উপযোগী হয়।
তৈলাক্ত ত্বক: চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার স্ক্রাব করা দরকার। এতে মাথায় অতিরিক্ত তেল বসতে পারবে না। এই ধরনের ত্বকে খুশকি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তৈলাক্ত ত্বক খুব ভালভাবে পরিষ্কার না করলে সংক্রমণ হতে পারে।
চুলের নানা রকম স্ক্রাব পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী তা বেছে নিতে হবে। ভাল হয় যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যায়। ওট্স, কফি গুঁড়ো, চালের গুঁড়ো এবং কাঠবাদামের তেল স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। তবে সেটি মাখার আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি।