অল্পেই ক্লান্তি, আচমকাই বাড়ছে ওজন। অকালে ঝরছে চুল, শুকনো খসখসে ত্বক। সেই সঙ্গেই বুক ধড়ফড়, অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে হৃৎস্পন্দন। ছোটখাটো শারীরিক সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাওয়া হয় বেশির ভাগ সময়েই। অথচ এই প্রতিটি উপসর্গের জন্য দায়ী হতে পারে থাইরয়েড, যার চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যেতে পারে। পরীক্ষা করিয়ে যদি থাইরয়েড ধরা পড়ে, তা হলে আতঙ্কে ভুগে লাভ নেই। থাইরয়েড মানেই আজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে, তা-ও নয়। অনেকেই ভাবেন, থাইরয়েড ধরা পড়া মানেই পছন্দের সব খাবারই বাদ পড়বে। যদি বেশি ওষুধ খেতে না চান, তা হলে রোজ অভ্যাস করুন কিছু যোগাসন।
কোন কোন আসন অভ্যাসে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকবে?
সেতু বন্ধাসন
ম্যাটের উপর টানটান হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু ভাজ করতে হবে। এর পর পিঠ ও কোমরে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে কোমর উপরে তুলতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে। মেদ কমানোর পাশাপাশি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য রাখতেও সাহায্য করে এই আসন।
হলাসন
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। পা যেন ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যান। এ বার পিঠ ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলুন যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। ২০ সেকেন্ড ওই ভঙ্গিতে থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
সর্বাঙ্গাসন
হলাসনের পরে এই আসনটি অভ্যাস করতে পারেন। হলাসনের মতোই এই আসনটি করার জন্যে প্রথম চিত হয়ে শুতে হবে। তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর ও পা দুটি উপরে তুলতে হবে। কাঁধ, কোমর, পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে। কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন। ৩০-৪০ সেকেন্ড পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
মার্জারাসন
এর পরে যে আসনটি করলে উপকার হবে তা হল মার্জারাসন। প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। পিঠ উঁচু করে মাথা ঝুঁকিয়ে শ্বাস নিন, কিছু ক্ষণ ধরে রেখে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট।