বাঁশ তো লোকের ঘুম কেড়ে নেয়, বাঁশ আবার ঘুমও পাড়াতে পারে? ছবি- সংগৃহীত
তুলতুলে নরম একটি বালিশ মাথায় না দিলে যেন ঘুমই আসতে চায় না। আবার তেমন বালিশ মাথায় দিয়ে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পর কখনও কখনও ক্লান্তি কাটতে চায় না। কেন বলুন তো? চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্ত কিছুর নেপথ্যে রয়েছে আপনার মাথার ওই নরম তুলতুলে ওই বালিশটি। আপাত ভাবে যা নরম, তুলতুলে তা যে সকলের জন্য ভাল, এমনটা না-ও হতে পারে। তা-ও কেনার পাঁচ থেকে ছ’মাস পর্যন্ত বালিশ প্রায় নতুনের মতোই থাকে, যার ফলে সেগুলি ব্যবহার করলে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ব্যবহার করতে থাকলে বালিশের ভিতর তুলো জমাট বেঁধে, ঘুমের সময় অস্বস্তি হতেই পারে। যার ফলে রাতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ঘুমোতে পারেন না অনেকেই। ফলস্বরূপ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তি গ্রাস করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একই বালিশ বেশি দিন ব্যবহার করলে শুধু যে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে তা নয়, পাশাপাশি মাথা, ঘাড়, কাঁধ বা মেরুদণ্ডেও সমস্যা হতে পারে। তাই বালিশ নষ্ট না হলেও এক বছরের বেশি তা ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে তুলোর বালিশে না শুয়ে অন্য পাঁচটি উপাদান ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ক্লান্তি কাটাতে কোন পাঁচ রকম বালিশ ব্যবহার করতে পারেন?
১) মেমরি ফোম
দেহের ভার ঘাড়ে, মাথায় গিয়ে পড়লে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। তাই অনেকেই সাধারণ বালিশের বদলে বিশেষ এই ফোম ব্যবহার করেন। বিশেষ করে স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্তদের জন্য মেমরি ফোমের তৈরি বালিশ খুবই কার্যকরী।
২) ‘ভি’ বালিশ
উদ্বেগ বা মানসিক চাপের কারণে ঘুমের সমস্যা হলে ইংরেজি অক্ষর ‘ভি’-এর মতো বালিশ ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। যে হেতু এই ধরনের বালিশ ব্যবহার করলে মাথা, নাক এবং মুখ, গলা এবং দেহের অন্য অংশের তুলনায় একটু উঁচু হয়ে থাকে, তাই নাক ডাকার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) পালকের বালিশ
রাতে যদি শান্তির ঘুম ঘুমোতে চান, তবে বালিশের ভিতর তুলোর বদলে পালক ভরে ব্যবহার করুন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, এই ধরনের বালিশ চট করে ছিঁড়ে যায়, তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করাই ভাল।
৪) বাঁশের তন্তু থেকে বানানো বালিশ
ভাবছেন এমনিতেই সারা দিন ঘাড়ে করে নিয়ে ঘোরেন, আবার ঘুমের সময়ও তাকে মাথায় নিয়ে শুতে হবে। শুনতে খারাপ লাগলেও কাজে কিন্তু তেমনটা নয়। অনেকেরই বালিশের তুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, কিন্তু এই বাঁশের তন্তু দিয়ে বানানো বালিশ ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা যায় অনায়াসে।
৫) সিল্কের বালিশের খোল
শুধু বালিশ নয়, কিছু ক্ষেত্রে বালিশের খোল পাল্টালেও কিন্তু সমস্যার সমাধান হতে পারে। এতে যে শুধু ঘুম ভাল হয় তা-ই নয়, চুল পড়ার সমস্যাও অনেকটা কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy