মঙ্গলবার হল সঙ্কটমোচন হনুমানকে পুজো করার দিন৷ এই দেবতাকে মন থেকে ডাকলে, জীবন থেকে সমস্ত বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়৷ প্রত্যেক শনি-মঙ্গলবার তাই মন-প্রাণ দিয়ে বজরংবলীর পুজোয় ব্রতী হওয়া উচিত৷ আর বজরংবলী বা সঙ্কটমোচন হনুমানের পুজোয় অবশ্যই পাঠ করতে হবে হনুমান চালিশা৷ যা পাঠ করা খুবই উপকারী৷
হনুমান চল্লিশায় মোট ৪০টি চৌপাই আছে। তার মধ্যে ৫টি চৌপাইয়ের বিশেষ ক্ষমতা আছে। বলা হয়, এই ৫টি মন্ত্র নিয়মিত উচ্চারণ করতে পারলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি সংসারে উপচে পড়বে। হনুমান সারা জীবন ছিলেন প্রভু রামের ভক্ত। মাতা সীতার আশীর্বাদে হনুমান অমর হওয়ার বর পেয়েছিলেন। তাই কেউ যদি এই হনুমান চল্লিশা মন দিয়ে পাঠ করেন, তা হলে তাঁর ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। হনুমান যেহেতু প্রভু রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন, তাই প্রভু রামের আগে হনুমানের পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন: জীবন থেকে দুর্ঘটনার প্রভাব কাটানোর সহজ কিছু উপায়
এখন জেনে নেওয়া যাক কোন মন্ত্র পাঠে কী রূপ ফল পাওয়া যায়:
১। ‘রামদূত অতলিত বলধামা৷ অঞ্জনিপুত্র পবনসুত নামা৷’
ফল: হনুমান পুজোর সময়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আপনি সমস্ত রকম শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন৷
২। ‘মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী৷ কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী৷’
ফল: এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধির অধিকারী হবেন৷
৩। ‘বিধবান গুণী অতি চাতুর৷ রামকাজ করিবে কো আতুর৷’
ফল: যদি কোনও ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানী হতে চান, তা হলে এই মন্ত্রের বিকল্প নেই।
৪। ‘ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে৷ রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে৷’
ফল: শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে এই মন্ত্রটি প্রতি দিন সকালে উচ্চারণ করা আবশ্যক।
৫। ‘লায়ে সঞ্জীবন লক্ষ্মণ জিয়ায়ে৷শ্রী রঘুবীর হরষি ওর লায়ে৷’
ফল: দীর্ঘ দিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন, তা হলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন৷ সুফল অবশ্যই পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy