বক্রী নেপচুন- জন্মছকে নেপচুন শুভ ভাবে অবস্থান করলে নির্দিষ্ট বয়সে শিল্পগত প্রতিভা, কবিত্বশক্তির বিকাশ, সাইকিক বা মিস্টিক অনুভূতির বিকাশ, অতীন্দ্রিয় শক্তির উন্মেষ হয়ে থাকে। আর বক্রী নেপচুন আমদের গত জন্মের খারাপ কর্মফলের প্রভাবে মাদকাসক্ত করে তোলে। মস্তিষ্কবিকার, মৃগী-সহ নানা রকম রোগেও ভুগতে হতে পারে।
বক্রী প্লুটো- আমদের জীবনের কোনও আকস্মিক পরিবর্তন দিকে নিয়ে যায়। প্লুটো বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবর্তন এনে থাকে। মানুষের জীবনকে এক অবস্থা থেকে আর এক অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়। তাকে চিন্তা করার কোনও সুযোগ দেয় না।
চিরন (Chiron)- গত জীবনের কর্মফলকে এই জীবনে প্রকট করে তুলতে পাশ্চাত্য জ্যোতিষে চিরন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিরন গ্রহাণু বা বামন শ্রেণির গ্রহ। একে ক্ষত নিরাময়কারী গ্রহ বলা হয়। জন্মছকে যেখানে অবস্থান করে, সেখান ব্যথা, বেদনা, হাহাকার, শূন্যতা, বিয়োগ বেদনা-সহ নানা রকম মানসিক ক্ষতের সৃষ্টি করে কিছু সময় পরে আবার নিরাময় করে তোলে।
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ- আমরা যখন ভূমিষ্ঠ হইনি, মাতৃগর্ভে থাকি তখন খুব কম করে দু’টি গ্রহণ প্রকৃতির বুকে সংগঠিত হয়ে থাকে— একটা সূর্যগ্রহণ এবং একটা চন্দ্রগ্রহণ। এটা হয় সবার ক্ষেত্রে। এই দু’টি গ্রহণের খুব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে অতীত জীবনের কর্মফলকে প্রকট করতে। এই দু’টি গ্রহণ আমাদের ভ্রূণ অবস্থায় প্রানশক্তির প্রবাহ বা এনার্জি প্যাটার্নটাকে বর্তমান জীবনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে। সূর্যগ্রহণ আমাদের ব্যাক্তিস্বাতন্ত্রকে গড়ে তূলতে সাহায্য করে থাকে আর চন্দ্রগ্রহণ আমাদের ব্যাক্তিত্ত্ব গড়তে সাহায্য করে।
স্টেলিয়াম (Stellium)- স্টেলিয়াম শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ নেই বললেই চলে। যদি কোনও ভাবে তিনের অধিক গ্রহ অবস্থান করে, তবে সেই জন্মছকটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে পূর্বজন্মকৃত কর্মফলের দিক থেকে। জন্মকুণ্ডলীর যে ঘরে তিনটি বা তার অধিক গ্রহ অবস্থান করে, সেই ঘরটিকে কেন্দ্র করে বর্তমান জীবনে নানারকম ঘটনা আবর্তিত হবে, সেটা ভালও হতে পারে, আবার খারাপ হতে পারে। জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে এই ভাবটিকে কেন্দ্র করে। এরকম অনেক জন্মছক আছে যাদের সারাটা জীবন অতিবাহিত হয়ে যায় শুধু সেই ভাবটিকে কেন্দ্র করে যে ভাবটিতে তিনের বেশি গ্রহ আছে।
আরও পড়ুন: ফাঁড়া বা দুর্ঘটনা কাটানোর সহজ কিছু উপায়
রাশিগুলো প্রতি জন্মে পরপর ক্রমানুসারে আসবে, এই রকম ঘটে না। বরং এই রকম ঘটে থাকে—
(১) যদি এই জীবনে যার যে রাশি হয়, মানে চন্দ্র যে রাশিতে থাকে, তা হলে ধরে নিতে হবে পূর্ব জীবনে ওই রাশি তার লগ্ন ছিল। যদি কারও এই জীবনে বৃষ রাশি হয় বা বৃষে চন্দ্র অবস্থান করে, তা হলে ধরে নিতে হবে গত জীবনে বৃষ তার লগ্ন ছিল।
(২) এই জীবনে কোনও জাতক/জাতিকার যে ঘরে লগ্ন থাকে, পূর্ব জীবনে সেই ঘরে তার রবি অবস্থান করেছিল। অর্থাৎ কারও এই জীবনে সিংহ লগ্ন হল, গত জীবনে তার রবি অবস্থান করছিল সিংহে।
(৩) এই জীবনে রবি যে ঘরে থাকবে পরবর্তী জীবনে সেই ঘরটি তার লগ্ন হবে। এই জীবনে কারও রবি যদি কুম্ভে অবস্থান করে, তবে পরবর্তী জীবনে কুম্ভ তার লগ্ন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy