প্রবাল চেনার উপায়ঃ
১। খানিকটা তুলোর ভিতর লাল প্রবাল সুর্যালোকে তিন-চার ঘণ্টা রেখে দিলে তুলোতে আগুন লেগে যায়।
২। লাল প্রবাল কাঁচা গরুর দুধের মধ্যে তিন-চার ঘণ্টা রাখলে দুধ লাল বর্ণের হয়ে যাবে।
৩। রক্তের মধ্যে লাল প্রবাল রাখলে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।
লাল প্রবালের আয়ুর্বেদিক শোধনঃ
ক্ষার মিশ্রিত জলে চব্বিশ ঘণ্টা রাখলে প্রবাল শোধিত হয়।
লাল প্রবালের প্রাপ্তিস্থানঃ
লাল প্রবালের দেখা মেলে সমুদ্রের নীচে। ডুবুরিরা সমুদ্র থেকে তুলে এনে কাটিং করে তা শুকিয়ে নেন।তারপর তা বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করা হয়।
ইতালি ও জাপানের লাল প্রবাল সর্বশ্রেষ্ঠ। জাপানি লাল প্রবাল অবশ্যই প্রথমে থাকবে তালিকায়। এর দামও তাই খুব বেশি। এটি দুষ্প্রাপ্যও বটে। বেশির ভাগ দোকানেই ইতালিয়ান প্রবাল পাওয়া যায়।
প্রবাল চার ধরনের হয়। সাধারণ লাল প্রবালের চেয়ে অক্স ব্লাড প্রবালের দাম আরও বেশি। তবে গৈরিক প্রবাল (মঙ্গল ও বৃহস্পতির জন্য)- এর দাম খুব কম। শ্বেত প্রবালের দাম আরও কম। মঙ্গল, শুক্র, চন্দ্রের জন্য এটি পরা হয়। আন্দামানের কাছে সমুদ্রে প্রচুর শ্বেত প্রবাল জন্মায়। এর রাসায়নিক নাম ক্যালসাইট। ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে এটির ক্ষয় হতে থাকে।
মঙ্গলের জন্য রক্ত প্রবাল ধারণ কর্তব্য। কালো আভাযুক্ত উজ্জ্বল স্বচ্ছ রত্ন পরতে হয় মঙ্গলবারে।
উপরত্ন – ব্ল্যাক স্যাফায়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy