দুর্ঘটনার সঙ্গে সুপ্রভাবে জড়িয়ে আছে আকস্মিকতা। জ্যোতিষ শাস্ত্র দুর্ঘটনার জন্য মূলত অষ্টম ভাবকে দায়ী করেছে। আবার গ্রহগত দিক থেকে দেখা গেলে মুখ্য কারক মঙ্গল,শনি, রাহু, কেতু ও চন্দ্র। দুর্ঘটনার বিচারে চন্দ্র খুব দুর্বল নির্দেশক। কারণ একমাত্র ভ্রমণে বা জলে দুর্ঘটনা চন্দ্র নির্দেশ করে। প্রধানত মঙ্গলই দুর্ঘটনার কারক গ্রহ।
এবার দেখা যাক দুর্ঘটনা কেন বা কখন হতে পরে -
১) অষ্টমে শনি এবং চতুর্থ-পতি ষষ্ঠে অবস্থান করলে ভ্রমণরত অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) শনি মঙ্গলের সহাবস্থান অথবা দৃষ্টি বিনিময় ঘটলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে বিশেষ ভাবে ওই গ্রহ দুটির মধ্যে যদি কোনও গ্রহ অষ্টম-পতি হয় অথবা অষ্টম-ভাবে অবস্থিত হয়।
৩) দুঃস্থানে অথবা নীচ-ক্ষেত্রে মঙ্গল পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট বা যুক্ত হলে শারীরিক আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকবে।
৪) অষ্টম-ভাব, অষ্টম-পতি এবং মঙ্গল পাপগ্রহের মধ্যগত বা পাপযুক্ত ও দৃষ্ট হলে দুর্ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।
৫) রাশিচক্রে রাহু-মঙ্গল যোগ অশুভ সূচক। রাহু ও মঙ্গলের সহাবস্থান বা দৃষ্টি বিনিময় ঘটলে আকস্মিক আঘাতে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে কোনও ভাবে অষ্টম-ভাব বা অষ্টম-পতির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলে দুর্ঘটনার প্রাবল্য বৃদ্ধি পাবে।
রাশিচক্রে দুর্ঘটনার বিচারের সময় দেখতে হবে প্রাণহানির সম্ভাবনা আছে কিনা। লগ্ন-পতি, লগ্ন-ভাব বলবান ও শুভ হলে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকবে না। দুর্ঘটনার কারক গ্রহ যদি বৃহস্পতি দ্বারা দৃষ্ট হয় তবে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকবে না। সধারনত রাশিচক্রে যে সব গ্রহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, ওই গ্রহের দশান্তদশায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy