অশ্বলায়নের ‘গৃহসূত্র’ ও ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থে বিবাহ বিধি প্রকরণ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।
দেখা নেওয়া যাক সেই বিধিগুলি-
১। বিবাহের পূর্বে শনি ও মঙ্গলবার, চতুর্থী, নবমী, চতুর্দশী ও অমাবস্যা তিথি; ভরণী, কৃত্তিকা, অশ্লেষা ও মঘা নক্ষত্র; বারবেলা, রাহুকাল, কালরাত্রি, ত্র্যহস্পর্শ ত্যাগ করে পাকা দেখা বা আশীর্বাদ করা প্রয়োজন।
২। বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ, অগ্রহায়ণ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসে সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বিবাহ হলে কন্যা সৌভাগ্যশালী পতিব্রতা ও ঐশ্বর্যযুক্তা হয়।
৩। রোহিণী, মৃগশিরা, মঘা, উত্তরফাল্গুনী, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রে এবং মিথুন, কন্যা, তুলালগ্নে বিবাহ সুপ্রশস্ত।
৪। এ ছাড়া ‘গোধূলি লগ্নে’ বিবাহের প্রশস্তি শাস্ত্রে প্রায় সর্বত্র দেখা গেলেও অগ্রহায়ণ ও মাঘ মাসে ‘গোধূলি লগ্নে’ বিবাহ নিষিদ্ধ। বঙ্গদেশে দিবাভাগে বিবাহ প্রশস্ত মানা হয় না।
আরও পড়ুন: আপনার জন্মছকে এই যোগ থাকলে আপনি ধনী হবেন
৫। বিবাহ সময়ে জাতক-জাতকার লগ্ন, চতুর্থ, পঞ্চম, নবম ও দশমে বৃহস্পতি কিংবা শুক্র থাকলে ‘সুতহিবুকযোগ’ হয়। এই যোগে লগ্নের সমস্ত দোষ নাশ ও সুখবৃদ্ধি হয়ে থাকে।
৬। বিবাহের দিনে কর্পূর, কুমকুম, মহুয়া ফুল, ধূনা, জায়ফল- এই পাঁচটি দ্রব্য এক সঙ্গে বেটে কন্যার হাতে প্রলেপ দিলে তার দুর্ভাগ্য ও বৈধব্য নাশ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy