বৈদিক শাস্ত্র মতে বেলপাতাকে অনেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
• বেল গাছের তিনটি পাতা একত্রে থাকলে তবেই তাকে একটি বেলপাতা বলা হয়। এই তিনটি বেলপাতা হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর।
• এই তিনটি পাতাকে যথাক্রমে তিনটি চোখ বলা হয়।
• তিনটি পাতা যথাক্রমে– পূজা, স্তোত্র ও জ্ঞান।
• বেলডাল যথাক্রমে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়কে উপস্থাপনা করে।
• বেলপাতার সামনের অংশকে অমুর্যাম বলা হয়।
• যে কোনও পূজার ক্ষেত্রে যদি অসম্পূর্ণ বা ছেঁড়া বিল্বপত্র অর্পণ করা হয়, তা হলে তা পাপ করার তূল্য হয়।
• বেলফলকে শ্রীফল বলা হয়। শিবপূজার একটি উত্তম উপাদান বেলপাতা।
জ্যোতিষমতে বাড়ির দিক অনুসারে বেলগাছ থাকার কী উপকার—
উত্তর-পূর্ব দিকে বেলগাছ সম্পদ প্রাপ্তি ঘটায় ও অশুভত্ব থেকে মুক্তি দেয়।
পূর্ব দিকে বেলগাছ সর্বপ্রকার সম্পদ ও শান্তি লাভ ঘটায়।
আরও পড়ুন: রেবতী নক্ষত্র জাতদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য
পশ্চিম দিকে বেলগাছ সুসন্তান দেয়।
দক্ষিণ দিকে বেলগাছ দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি দেয়।
শারীরিক প্রয়োজনে বেলগাছ
• বেলফলের গুঁড়ো দুধের সঙ্গে পান করলে রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• হাই ব্লাড সুগারে নিয়মিত বেলফল খাওয়া হলে এই রোগ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
• বেলফল ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে মিছরি সহকারে পান করলে লিভারের সমস্যা দূর হয়।
• বেলফল সরষের তেলের মিশ্রণে দিয়ে যদি কোনও ব্যথায় মালিশ করা হয় তবে খুব উপকার পাওয়া যায়।
• বেলের গুঁড়ো যদি ক্ষত স্থানে লাগানো হয়, তা হলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম হয়।
• যদি বেলফল চিনির সঙ্গে সেবন করা যায় তা হলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy