বাস্তশাস্ত্র অনুসারে কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বাছাই করা উচিত। এ ছাড়া শুভ মুহূর্ত দেখে কলকারখানা ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু করা বাঞ্ছণীয়। যদি কেউ নতুন কারখানা স্থাপনে উদ্যোগী হন এবং এই সমস্ত নিয়ম যদি তিনি পালন করেন তবে অল্প দিনের মধ্যেই কারখানার শ্রীবৃদ্ধি হবে। যে সব কারখানা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে চলছে সেখানেও যদি বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে বদল করা যায়, তবে সেই সব কারখানাও সুষ্ঠভাবে চলতে শুরু করবে।
দেখুন বাস্তুশাস্ত্রের কিছু তথ্য :—
১। নিরাপত্তা রক্ষীদের অফিস প্রবেশ দ্বারের উপর নির্ভর করে। যদি কারখানার উত্তর-পূর্বের পূ্র্ব দিকে প্রধান দরজা তৈরি করা হয় তা হলে তার দক্ষিণ দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘর হবে।
২। প্রবেশ দ্বার উত্তর-পূর্বের উত্তর দিকে হয় তা হলে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘর উত্তর-পূর্বের পশ্চিম দিকে করা উচিত।
৩। কারখানার মেশিনপত্র বসাবার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সবচেয়ে ভারি মেশিনপত্র দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে বসে।
৪। কাঁচা মাল রাখার জন্যে কারখানার ভিতরর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। উৎপাদনের জন্য নিয়োজিত কাঁচা মাল এবং প্রায় সম্পূর্ণ মাল রাখার জায়গা কারখানার ভিতরের পশ্চিমাঞ্চলে হওয়া উচিত।
৫। তৈরি দ্রব্য ও সরবরাহ করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত দ্রব্যাদি কারখানার উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। কারণ বাস্তু উপদেষ্ঠা বিশ্বকর্মা বলেছেন, এই শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।