বাড়ি তো আপনি করে ফেলেছেন। এখন বাস্তুশাস্ত্রের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে তো আপনি ভেঙে বদলাতে পারবেন না। সে তো প্রায় আবার নতুন এক বাড়ি করার ধাক্কা। তা অসম্ভব। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপায় আছে। বাড়ি না ভেঙেও কি করে আপনি বাস্তুদোষহীন অথবা সুখী গৃহকোণে রূপান্তরিত করতে পারবেন, তার কিছু সরল বাস্তুবিধি আছে।
কেমন ভাবে? আসুন, তা দেখে নেওয়া যাকঃ-
১। বিম দোষঃ- আজকাল অবশ্য গৃহে বিম নির্মাণের তেমন প্রচলন নেই। তবু কথিত যে বিম দোষের কারণে গৃহস্থরা বিমের নীচে শয়ন বা উপবেশন করেন তাহলে তাদের মানসিক অশান্তি বা উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায়। এক ধরনের মানসিক অস্থিরতাও তাদের মধ্যে দেখা যায়। এরা অনেক সময়ই অনিদ্রার শিকার হন। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে বিম দোষের প্রতিকূলতা দূর করতে হলে বিমের দুই প্রান্তে দুটি বাঁশের বাঁশী ঝোলান। বিম দোষ কেটে যাবে।
২। সোপান দোষঃ- যদি গৃহদ্বার খুলতেই গৃহের সিঁড়ি দেখতে পান, তাহলে তা বাস্তুশাস্ত্র মতে অশুভ। এক্ষেত্রে আপনি গৃহদ্বার ও সিঁড়ির মধ্যবর্তী স্থানে পর্দা লাগান। ফলে গৃহে উৎপন্ন নঙার্থক ঊর্জার প্রভাব লাঘব হবে।
বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বকর্মা বলেছেন এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।