১। শাস্ত্রোক্ত বিধি অনুযায়ী শুদ্ধ এবং অভিমন্ত্রিত হয়ে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা কর্তব্য।
২। লগ্নানুযায়ী লগ্নপতির নির্দিষ্ট বারে অথবা শুক্ল পক্ষের সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধেয়।
৩। রুদ্রাক্ষ ধারণের সময় মুখানুসারী মন্ত্রোচ্চারণ অতি অবশ্যই করণীয়-
এক মুখীঃ- ওঁ এং হং ঔং ঐং ওঁ।
দুই মুখীঃ- ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্ষৌ ব্রীং ওঁ।
তিন মুখীঃ- ওঁ রং হ্রীং হ্রুং ওঁ।
চার মুখীঃ- ওঁ বাং ক্রাং তাং হ্রীং ইং।
পাঁচ মুখীঃ- ওঁ হ্রাং আং ক্ষভৌ স্বাহা।
ছয় মুখীঃ- ওঁ হ্রীং শ্রীং ক্লীং সৌং ঐং।
সাত মুখীঃ- ওঁ হ্রীং ক্লীং গ্লৌং হ্রীং স্রৌং।
আট মুখীঃ- ওঁ হ্রাং গ্রীং লং আং শ্রীং।
নয় মুখীঃ- ওঁ হ্রীং বং রং লং।
দশ মুখীঃ- ওঁ হ্রীং ক্লীং বীং ওঁ।
একাদশ মুখীঃ- ওঁ রুং ক্ষুং মুং য়ুং ওঁ।
বারো মুখীঃ- ওঁ হ্রীং ক্ষৌং ঘৃণিঃ শ্রীং।
তেরো মুখীঃ- ওঁ ইং য়াং আপঃ ওঁ।
চোদ্দ মুখীঃ- ওঁ ঔং হম্ফৈং ক্ষম্ফ্রেং হস্ত্রৌ হস্ফৌং।
পনেরো মুখীঃ- ওঁ হং সং হ্রীং ঐং ওঁ।
ষোল মুখীঃ- ওঁ বাং ঝাং তাং হ্রীং ঐং শ্রীং।
সতেরো মুখীঃ- ওঁ হাং ক্রাং ক্ষৌং স্বাহা।
আঠারো মুখীঃ- ওঁ হ্রীং শ্রীং ক্লৌং সৌং ঐং হ্রীং।
উনিশ মুখীঃ- ওঁ হং সং ঐং হ্রীং শ্রীং।
বিশ মুখীঃ- ওঁ জ্ঞাং জ্ঞীং লং অং ঐং শ্রীং।
গৌরী শঙ্করঃ- ওঁ শিব পার্বত্যৈ নমঃ।
৪। অন্য কোনও ব্যক্তির ধারণ করা রুদ্রাক্ষ কখনওই ধারণ করতে নেই।
৫। রুদ্রাক্ষ সোনা-রূপা-রেশম বা সুতীর ডোরে বেঁধে ধারণ করা উচিত।
৬। যদি একাধিক রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়, তবে রুদ্রাক্ষের মধ্য গাঁট থাকা বাঞ্ছনীয়। অর্থাৎ রুদ্রাক্ষগুলি যেন একে অপরের সঙ্গে সেঁটে না থাকে।
৭। সম্ভব হলে যে ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন, তার পেঁয়াজ-রসুন-মরিচ প্রভৃতি ভক্ষণ করা উচিত নয়। যদি প্রত্যহ তা সম্ভব না হয়, তা হলে অন্তত প্রতি সোমবার এই নিয়ম পালন করা উচিত।
৮। সম্ভব হলে যে ব্যক্তি রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন, প্রতি দিন তার শিবের ধ্যান করা উচিত এবং প্রতি সোমবার প্রদোষ কালে কোনও শিব মন্দিরে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢাললে ব্যক্তির রুদ্রাক্ষ ধারণের শুভফল প্রাপ্তি ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy