বাজার এখন ভরে গিয়েছে নানা রকম রত্ন-পাথরে। চোখ ধাঁধিয়ে দেয় তাদের রং আর উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটা। এই সব রত্ন-পাথরের ভিড়ে কোনটা আসল, কোনটা নকল তা চিনবেন কি করে জেনে নিন। প্রথমত, রত্ন-পাথরের আকৃতি, রঙ, স্বচ্ছতা ও এর ভেতর সূক্ষ্ম যে সব অবাজ্ঞিত পদার্থ থাকে, তার বিন্যাস দেখেই প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে হবে।
পান্না চেনার উপায়ঃ---
১। পান্নাকে জলে রেখে দিলে সবুজ বর্ণের কিরণ দেখা যায়।
২। সাদা কাপড়ের ওপর পান্না রেখে একটু উঁচুতে তুলে ধরলে সাদা কাপড় সবুজ দেখায়।
পান্নার আয়ুর্বেদিক শোধনঃ---
খাঁটি পান্না কাঁচা দুধে চব্বিশ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে।
পান্নার প্রাপ্তিস্থানঃ—
এটি মূলত কলম্বিয়া, ব্রাজিলে পাওয়া যায়। কলম্বিয়ান পান্না সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই এর মূল্য সর্বোচ্চ। তারপরে ব্রাজিলিয়ান পান্না। এটি দেখতে কালচে সবুজ। কলম্বিয়ান পান্না স্বচ্ছ সবুজ। ব্রাজিলিয়ান পান্না অর্ধস্বচ্ছ ও ঘোলাটে সবুজ।
দেশভেদে নামান্তরঃ- বঙ্গদেশে পান্না, হিন্দিতে পন্না, মহারাষ্ট্রে পাচুরত্ন, গুজরাটে লীলুম ও পাশু, কর্ণাটে পাচীপাচ্চ, তৈলঙ্গে লীলম্, ফরাসীতে জুমুরঙ্গীপ, আরবীতে জুমুইম্, ইংরাজীতে এমারেল্ড ও ল্যাটিনে স্যামবাগ্ ডাস বলে।
বুধের প্রতিকারে সবুজ পাণ্ণা বুধবারে ধারণ কর্তব্য।
উপরত্ন :— ওনেক্স পান্না, ফিরোজা, অ্যাকোয়ামেরিন, মারগাম ও জেড পাথর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy