আয় হবে অনেক। ব্যয় হবে কম। জমা হবে বেশি। কর্মে উন্নতির লক্ষণ স্পষ্ট। বেকার ব্যক্তির নতুন কর্মলাভের যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়বে। স্বাধীন ব্যবসায় উন্নতি হবে। শরীর মোটের উপর ভাল থাকবে। মাথা ও পেট ব্যথা হতে পারে। অর্শর মতো রোগের আশঙ্কা আছে। লেখাপড়া ও পরীক্ষার ফল ভাল হবে। সাহিত্যচর্চায়ও উন্নতি লাভের যোগ দেখা যায়। ভাই-বোনদের শরীর ভাল থাকবে। তাদের সঙ্গে সদ্ভাব নষ্ট হবে না। বন্ধুভাব বেশি ভাল নয়। একটি বন্ধুর আকস্মিক মৃত্যু বা বড় রোগভোগ জাতকের মানসিক কষ্টের কারণ হবে। বন্ধুর দ্বারা উপকার আশা করতে পারেন। সন্তানভাব শুভ। তাদের শরীর ভাল থাকবে। তাদের লেখাপড়া ও পরীক্ষার ফল আনন্দের কারণ হবে। একটি সন্তানের কৃতিত্বে জাতকের মুখ উজ্জ্বল হবে। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। তাঁদের দৈহিক অবস্থাও খুব ভাল যাবে না। দাম্পত্যকলহ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। না হলে মানসিক অশান্তি বাড়বে। অবিবাহিতের বিবাহযোগ প্রবল। দু’একজন ব্যক্তি ক্ষতির সামান্য চেষ্টা করলেও শত্রুভাব শুভ বলা যায়। শত্রুর দ্বারা বেশি অনিষ্টের আশঙ্কা নেই। শত্রুরা পরাজয় স্বীকারে বাধ্য হবে। রূঢ় আচরণ ও অসংলগ্ন কথা বন্ধ করে ধর্মাচরণে মনযোগ হলে অনেক সুফল পাওয়া যাবে। কোন সাধক পুরুষের সান্নিধ্যলাভ হতে পারে।
অর্থ– এই বছর অর্থ ভাগ্য খুব ভাল যাবে। ব্যবসায়ীদের অর্থ নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। ঋণ নিতে হতে পারে গৃহনির্মাণের জন্য। পাওনা টাকা আদায়ে দেরি হতে পারে।
পরিবার – পরিবারে সকলের সঙ্গে অশান্তি একটু বাড়তে পারে। আত্মীয়ের সঙ্গে কোনও ব্যবসা নিয়ে বিবাদ বাড়তে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ বৃদ্ধি। সন্তান মতের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
সম্পর্ক – এই বছর সম্পর্ক একটু ভাল হতে পারে। বাইরের কোনও সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি। স্ত্রীর সঙ্গে কোনও অন্য ব্যক্তির জন্য বিবাদ। পরিবারে সম্পর্ক ঠিক থাকবে না।
জীবিকা – ব্যবসার ক্ষেত্রে চিন্তা থেকে মুক্তি। চাকুরির স্থানে কোনও ছোট অশান্তি থেকেই যাবে। খরচ বেশি হওয়ার জন্য সঞ্চয় কম হতে পারে। ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থ যোগান ভাল হবে না।
রাশি চক্রের প্রথম রাশি মেষ। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ মঙ্গল। এই রাশির ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই তেজস্বী, স্পষ্টবক্তা ও নির্ভীক প্রকৃতির হয়ে থাকে। নানা রকম রোমাঞ্চকর কাজ, সাহসিকতার কাজ করতে পারলে খুব আনন্দিত হয়। গুরুজন ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের প্রতি ভক্তিযুক্ত। কাজ বা কথার সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। পরিশ্রমি তবে কায়িক শ্রমের চেয়ে মস্তিষ্কের শ্রমেই বেশি সফল। এরা খুব তোষামোদ প্রিয় ও বন্ধুবৎসল। তবে সকলের সঙ্গে সমান ভাবে মিশতে পারে না। আবেগ প্রকাশ বা নিজেকে বড় করে দেখবার চেষ্টা এদের খুব বেশি। এরা সব বিষয়ে বড় হতে ও নেতৃত্ব করতে হয়। নিজের ক্ষমতায় না হলে পেছনের পথ দিয়ে এগোতেও কুণ্ঠিত হয় না। এদের মতে উন্নতিই আসল, সেখানে পৌঁছনোর পন্থাতা গৌণ। এদের উদ্ভাবনী শক্তি প্রবল। সহজে কথার খেলাপ করে না। নিজের ক্ষতি করেও কথা রাখতে চেষ্টা করে। মন চঞ্চল ও মাঝে মাঝে উগ্র প্রকৃতির হয়ে ওঠে।
—শ্রী জয়দেব