অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
ভোর ৫টা বেজে ২০ মিনিটে দিল্লিতে নামার কথা ছিল স্পাইস জেটের দুবাই-দিল্লি ফ্লাইটের। দুবাই থেকে বিমান আকাশে ওড়ার পরই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন অধিকাংশ যাত্রী। তখনই ২৫ বছরের এক যুবতীকে তাঁর পাশে বসে থাকা এক পুরুষ যাত্রী শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকার শুনেই ঘুম ভাঙে তাঁর বাবা-মা এবং অন্যান্য যাত্রীদের। এর পর উড়তে থাকা বিমানের মধ্যেই শুরু হয় গণপিটুনি।
দুবাই থেকে ওড়ার পর ভোর ৪টে নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওই যুবতী। তাঁর এক দিকে বসেছিলেন তাঁর বাবা। অন্য দিকে বসেছিলেন শারিখ খান নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। বিমানসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভোর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন ওই যাত্রী। সেই কারণেই ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠেই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরের উপর শারিক খানের হাত। তখনই তিনি সরে গিয়ে শারিক খানকে হাত সরিয়ে নিতে বলেন। হাত সরিয়ে নিলেও শারিখ খান পাল্টা গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা বিমানযাত্রী। শারিখ তাঁকে আঘাত করেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন ওই যুবতী।
এর পরই চিৎকার করতে শুরু করেন ওই যুবতী। চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর বাবার। জেগে ওঠেন অন্যান্য সহযাত্রীরাও। অন্যান্য যাত্রীদের যখন পুরো ঘটনা চিৎকার করে শোনাচ্ছিলেন নির্যাতিতা, তখন পাল্টা গালাগালি করছিলেন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পুরুষ সহযাত্রীও। এর পরই তাঁর সিটের চারিদিকে জড় হতে শুরু করেন অন্যান্য যাত্রীরা। উড়তে থাকা বিমানের মধ্যেই তাঁকে ঘিরে ধরেন মহিলা সহযাত্রীরা। অন্তত ১৭ জন মহিলা সহযাত্রী ঘিরে ধরে মারতে শুরু করেন অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য জনসভায় থাপ্পড় হার্দিককে, বিজেপির দিকে অভিযোগ পাতিদার নেতার
গণপিটুনির হাত থেকে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলের কাছে দৌড়ে যান বিমানকর্মীরা। কিন্তু, কিছুতেই তাঁদের থামানো যায়নি। মাইকে ঘোষণা করেও তাঁদের আলাদা করতে পারেননি কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ভোর ৫টা বেজে ২০ মিনিটে বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিআইএসএফ জওয়ানরাঢুকে পড়েন বিমানটিতে। মারামারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিলেন পাইলট এবং তাঁর সহকর্মীরা, সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনটাই। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসপির বদলে বিজেপিতে ভোট! ভুলের শাস্তি দিতে নিজেই কেটে ফেললেন আঙুল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy