দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষকদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ। ছবি: পিটিআই।
পড়ুয়াদের পথ দেখানোই তাঁদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যভেদেই এ বছরের জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার জিতে নিলেন বাংলার চার শিক্ষক। তাঁদের হাতে আজ পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
তাঁর ছাত্ররা আজ কর্মরত সেল, ডিআরডিও-র মতো সংস্থায়। প্রায় ১৩ বছরের কর্মজীবনে কয়েকশো পড়ুয়াকে আইটিআই প্রশিক্ষণ দিয়েছেন দুর্গাপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর ইলেকট্রেশিয়ান ট্রেডের প্রশিক্ষক রমেশ রক্ষিত। তাঁর এক ছাত্র দক্ষতা সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় সারা ভারতে প্রথম স্থানও পান। এ বছর দক্ষতা বিকাশ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন রমেশ। আইআইএসইআর-এর কেমিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক সায়ম সেনগুপ্তের আবার ঝোঁক ছোটদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা বাড়ানোর। নিয়মিত ভাবে পুরসভার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞানের আগ্রহ বাড়াতে তৎপর রয়েছেন তিনি।
উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এ বার সায়ম ছাড়াও পুরস্কার পেয়েছেন খড়্গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী। শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের মাইক্রোফ্লুইড গবেষণাগার তৈরি করেন তিনি। এ ছাড়া সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের নিয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলায় সক্রিয় রয়েছেন তিনি। স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন শুধু হাওড়ার রঘুনাথপুরের নফর অ্যাকাডেমির শিক্ষক চন্দন মিশ্র। ছোটদের শিক্ষাকে সহজ করে তুলতে ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’ ও ‘অগমেন্টেড রিয়্যালিটি’-র প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরে জোর দেন তিনি। ফলে লাফ দিয়ে বাড়তে থাকে স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকল্পে অংশ নেওয়া চন্দন মিশ্রের স্কুল জিতে নিয়েছে ‘ইন্সপায়ার’ পুরস্কারও। এর আগে রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কারও পেয়েছেন চন্দন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy