পুলিশ সুপার ও টাউন দারোগাকে বশে আনার জন্য ঝাঁড়ফুক করে ধরা পড়ল ৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে সদর থানার হোমগার্ড মদন গুপ্ত এবং টাউন দারোগার রাধুনি লোহিত পালও।
পুলিশ সুপার রাজবীর সিংহ ও টাউন দারোগা নিপু কলিতাকে বশে আনার ভাবনা প্রথম মদনের মাথায় আসে। কড়া ধাতের এই দুই অফিসার পান থেকে চূণ খসলেই ধমক দেন। সত্য গোপনের কোনও চেষ্টা তাঁদের কাছে সার্থক হয় না। ফলে অনেকদিন থেকে বেশ মন্দা চলছে তার। রংপুরের বাপন লস্কর সে কথা জেনে তাকে বাঁশকান্দিতে নিয়ে যায়। সেখানকার লিয়াকত আলি চিনিতে ফুঁ দিয়ে দেন। অনেকের বিশ্বাস, ওই চিনি যাকে খাওয়ানো যায়, তিনিই বশে চলে আসেন। চিনি নিয়ে এসে মুশকিলে পড়ে মদন গুপ্ত। কী করে খাওয়ানো তাঁদের! বেছে নেয় লোহিত পাল, সতীশ সাহনি ও সরস্বতী দাস। লোহিত হোমগার্ড হলেও তার কাজ টাউন দারোগার জন্য রান্না করা। সতীশের পানের দোকান শিলচর সদর থানার সামনে। সরস্বতী এসপি-র জন্য চা তৈরি করেন। লোহিত ও সতীশ মদনের কথায় সায় দিয়ে চিনি রেখে দেয়। সরস্বতীকে অবশ্য অতশত বলতে যায়নি মদন। শুধু বলে এসেছে, এই চিনিতে চা করে দেবে স্যারকে।
মুখোমুখি কিছু না-বললেও বিষয়টি গোলমেলে ঠেকে সরস্বতীর। তিনি কথাটি এসপি-র কানে তোলেন। শুরু হয় তদন্ত। একে একে গ্রেফতার করা হয় ৫জনকে। তাদের বিরুদ্ধে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ বা টাউন দারোগা নিপু কলিতা এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। দুজনেরই এক বক্তব্য, ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy