Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে চা খেলেন অসমের ছয় বিধায়ক

ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে চা, পকোড়া খেয়ে এলেন অসমের বিধায়করা। তাঁরা বললেন— ‘‘এ ধরনের আন্তরিক ঘটনা এ বারই প্রথম ঘটল। এ রকম সম্পর্ক থাকলে দু’দেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫১
Share: Save:

ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে চা, পকোড়া খেয়ে এলেন অসমের বিধায়করা। তাঁরা বললেন— ‘‘এ ধরনের আন্তরিক ঘটনা এ বারই প্রথম ঘটল। এ রকম সম্পর্ক থাকলে দু’দেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।’’

অসম বিধানসভার এক প্রতিনিধিদল আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করতে করিমগঞ্জে আসেন। প্রথমে কারখানাপুতনি এলাকায় থাকা ‘ট্রাই-জংশন’ হিসেবে পরিচিত অসম, ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের এলাকা পরিদর্শন করেন। বিএসএফের তরফে তাঁদের কাছে সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়। রাতে সীমান্তে কী ভাবে ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা হয়, তা-ও বিধায়কদের দেখানো হয়। ৯ জন বিধায়কের সীমান্ত সফরে আসার কথা থাকলেও, এ দিন এসেছিলেন ৬ জন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি পি পায়রিয়েল, অসম পুলিশের অতিরিক্ত সঞ্চালক এ পি রাউত। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের অস্ত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তাঁরা। এর পর বিধায়কদল পৌঁছয় লাঠিটিলা সীমান্তে। সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁরা যান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। সেখানে বিজিবি কর্তারা বিধায়কদলের সদস্যদের চা, পকোড়া খাইয়ে আপ্যায়িত করেন।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই প্রথম অসমের কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে বিজিবির আমন্ত্রণে বাংলাদেশে পা রাখে। অসম বিধানসভার সদস্য এবং সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মৌলভীবাজারের বিজিবি কম্যান্ডার।

ভারতের সংবাদমাধ্যমকে মৌলভীবাজারের সেক্টর কম্যান্ডার মহম্মদ জাহিদ জানান— লাঠিটিলা এলাকার সীমান্তে কোনও সমস্যা নেই। সেখানে অবৈধ ভাবে কেউ সীমান্ত পারাপার করছে না। ডুমাবাড়ি এলাকাও ঘটনাবিহীন। বিজিবি কর্তা জানান, বাংলাদেশের দাবি মেনে ভারত ২০০টির দেশি স্তম্ভ বসিয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া বসানো ভারতের বিচার্য বিষয়।

সীমান্ত পরিদর্শনকারী দলে সামিল অসম পুলিশের অতিরিক্ত সঞ্চালক এ পি রাউত জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা ছিল আন্তরিক। লাঠিটিলা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে।

পরে ওই প্রতিনিধিদল লক্ষীপুরে ‘এলিফেন্ট চেন’ এলাকা পরিদর্শন করে। ওই এলাকা দিয়েই হাতিরা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। কিন্তু হাতিরা বেড়া গুঁড়িয়ে দেয়। প্রতিনিধিদলে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, কৃপানাথ মালাহ, জামালউদ্দিন আহমেদ, মিহিরকান্তি সোম, নুমাল মুমিন, নরেন সোনোয়াল সামিল ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE