অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করবে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন বুরো’ (এএআইবি)।
এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই তদন্তকারী সংস্থার ডিজি এবং তদন্তকারী অফিসার শীঘ্রই ঘটনাস্থলে যাবেন। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।
২০১২ সালে এএআইবি গঠিত হয় দেশে। তার পর থেকে দেশে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত তারাই করে। এর আগে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তভার পেত অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ)। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করবে এই সংস্থা। ব্ল্যাক বক্স হল বিমানের উড়ান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং ককপিটের কথোপকথন রেকর্ড করার যন্ত্র। এই যন্ত্রটি উদ্ধার করে ঠিকঠাক পরীক্ষা করা গেলেই বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। অহমদাবাদের ঘটনা নজরে রেখে তদন্ত রিপোর্টে সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় সুপারিশও করার কথা ওই সংস্থার।
গুজরাতে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার ডট কম যাচাই করেনি)। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানের লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর এলাকা।
সংবাদ সংস্থা এপি-কে অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানান, সম্ভবত বিমানের সকল আরোহীই নিহত। অন্য দিকে, রয়টার্সকে অহমদাবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হাসপাতালে অন্তত ১০০টি দেহ ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে।
বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।