প্রথমে আত্মসমর্পণ। তার পর গ্রেফতার। নানা টালবাহানা সত্ত্বেও গ্রেফতারই হতে হল তাঁকে। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর ভোরে গ্রেফতার করা হয় সোমনাথ ভারতীকে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আদালতে তাঁকে হাজির করানো হলে, বিচারপতি সোমনাথ ভারতীকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার নির্দেশ দেয়, ওই দিন সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে পুলিশের হাতে ধরা দিতেই হবে দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রীকে। তার পর হাজির হতে হবে আদালতে। আদালতের এই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরে দিল্লি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৪২০ (প্রতারণা এবং অসত্ আচরণ)-সহ মোট আটটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি উত্তর দ্বারকা থানায় দিল্লির প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সোমনাথের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করেন তাঁর স্ত্রী লিপিকা মিত্র। তাঁর অভিযোগ, তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন, তখন তাঁকে সোমনাথ তাঁর পোষা কুকুরের কামড় খাইয়ে খুন করতে চেয়েছিলেন। এর পর থেকেই দু’সপ্তাহ ধরে কার্যত পালিয়ে বেড়ান সোমনাথ। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল তাঁর টুইটে সোমনাথকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন।
তাঁর আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গে সোমনাথ বলেন, “আইনি কারণে আত্মসমর্পণ করতে দেরি হল।” আদালতের নির্দেশ মেনেই আত্মসমর্পণের এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। গত রাতে তাঁর আইনজীবী জানান, সোমনাথের বাবা অসুস্থ থাকায় আত্মসমর্পণ করতে দেরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy