এখনই লোকসভা ভোট হলে আর একার জোরে সরকার গড়ায় অবস্থায় থাকবে না বিজেপি— বলছে এবিপি নিউজের জনমত সমীক্ষা। তবে একই সঙ্গে তারা এ-ও বলছে যে, শরিকদের নিয়ে এনডিএ সরকার গড়তে কোনও সমস্যা হবে না নরেন্দ্র মোদীর। এমনকী, গত লোকসভার তুলনায় কেন্দ্রের শাসক জোটের ভোট শতাংশও বাড়বে।
চলতি মাসে ১৯ রাজ্যের ১৭৫টি আসনে জনমত সমীক্ষা করেছে এবিপি নিউজ-লোকনীতি-সিএসডিএস। আট মাস আগেও তারা একই ধরনের সমীক্ষা করেছিল। তখন দেখা গিয়েছিল গত লোকসভা ভোটের তুলনায় বিজেপির জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু এই আট মাসে তাতে ভাটার টান। গত বছর মে মাসে ৩৯ শতাংশ মানুষ বিজেপি-কে সমর্থন করেছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে তা কমে হয়েছে ৩৪ শতাংশ। তবে ২০১৪-র লোকসভায় বিজেপি ৩১.৩৪% ভোট পেয়েছিল।
গত আট মাসে জনপ্রিয়তা কমার মূল কারণ, অনেকেই মনে করছেন, ‘অচ্ছে দিন’ আনতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বেকারি, গ্রামীণ অর্থনীতি ধীরে ধীরে আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠছে বিজেপির কাছে। এই সময়ের মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। এই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে পারে রাহুল গাঁধীর দল। তাঁর জনপ্রিয়তা ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ।
গত কালই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, এখনই ভোট হলে আগের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের তুলনায় গোটা এনডিএর আসন ৩৫টির মতো কমছে। সিএসডিএস-কর্তা সঞ্জয় কুমার জানাচ্ছেন, এখনই ভোট হলে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৬০ আশেপাশে থাকবে। সে ক্ষেত্রে শরিকদের উপরেই অনেকটা নির্ভরশীল হতে হবে মোদীকে। কংগ্রেসের দাবি, ‘‘এটা আসলে বিজেপির ‘অচ্ছে দিন’ শেষ হওয়ার সূত্রপাত। আসল ভোট আসতে আসতে শরিক নিয়ে সরকার গড়ার অবস্থাতেও থাকবে না বিজেপি।’’ যদিও বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের মতে, ‘‘এখনও অনেক সময় বাকি। বিজেপি পরিস্থিতি শুধরে নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy